কখনো আলিফ এন্টারপ্রাইজ, কখনো খান জাহান এন্টারপ্রাইজ, আবার কখনো আলম এন্টারপ্রাইজ। এসব ভুয়া নাম ব্যবহার করে খুলনাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীদের কাছে কয়লা বিক্রির কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল একটি চক্র। অবশেষে র্যাবের হাতে ধরা পড়েছে ওই চক্রের ৩ সদস্য।
র্যাব-৬ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার দুপুরে এসব তথ্য জানায়। এর আগে মঙ্গলবার রাতে খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা থানাধীন চক্রাখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন, চক্রের মূলহোতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক পরিচয় প্রদানকারী আব্দুল আলী ফকির ও তার সহযোগী হারুন হাওলাদার ও মো. আরিফ।
র্যাব জানায়, র্দীঘদিন ধরে ভিন্ন ভিন্ন ছদ্মনাম ব্যবহার করে এবং বিভিন্ন নামের ভুয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাগেরহাট, খুলনা, যশোর, শরীয়তপুর, নোয়াখালী, পিরোজপুর জেলার ব্যবসায়ীদের নিকটে কয়লা বিক্রির কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল তারা৷
এই চক্রের মূলহোতা আব্দুল আলী ফকির নিজেকে ভুয়া প্রতিষ্ঠানসমূহের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে পরিচয় প্রদান করে প্রতারণার জন্য স্বল্পকালীন সময়ের জন্য ভবন অফিসের জন্য ভাড়া নিয়ে ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে ভিজিটিং কার্ড তৈরি করত।
পরে ব্যবসায়ীদের প্রতারিত করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করত। এভাবে তিনি অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। এক এলাকায় প্রতারণা করে তারা অন্য এলাকায় চলে যেতেন এবং প্রায় শতাধিক মোবাইল সীমকার্ড ব্যবহার করায় তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা অনেকটা দূরূহ হয়ে পড়েছিল। এ ঘটনায় গোয়েন্দা তদন্ত করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাব-৬ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এ ছাড়াও চক্রের মূলহোতা আব্দুল আলী ফকিরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাগেরহাট জেলার রামপাল থানায় তাদের হস্তান্তর করা হবে।’