বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভোলায় রাতের আঁধারে যুবলীগ নেতাকে চোখ-মুখ বেঁধে মারধর

  • প্রতিনিধি, ভোলা    
  • ১ মার্চ, ২০২৩ ০৯:৫১

তজুমদ্দিন থানার ওসি মো. মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, এ ঘটনায় থানায় কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ করলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় রাতের আঁধারে এক যুবলীগ নেতাকে চোখ-মুখ বেঁধে মারধর করার অভিযোগ ওঠেছে। এ সময় হামলাকারীরা তার কাছ থেকে নগদ ৭১ হাজার টাকা ও দোকানের চাবি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

স্থানীয় পাটওয়ারী দোকানের পশ্চিম পাশে ইসলামিয়া স্কুলের সামনে সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহত ৪৫ বছর বয়সী মো. মিল্লাত ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম চাঁদপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় পাটওয়ারী দোকান বাজারের মুদি ব্যবসায়ী।

আহত মিল্লাতের মা তহমিনা বেগম অভিযোগ করে জানান, তার ছেলে ছোটবেলা থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সে স্থানীয় পাটোয়ারী দোকান এলাকায় মুদি ব্যবসা করত। সেই সুবাদে বিবিএস ক্যাবলসের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার মিল্লাতের কাছে অসহায় মানুষকে দেয়ার জন্য কিছু কম্বল পাঠায়। সেই কম্বলগুলো স্থানীয় অসহায় মানুষের মধ্যে বিতরণ করে মিল্লাত। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কিছু ছাত্রলীগ নেতা তাকে হুমকি ধমকি দিতে থাকে। ভয়ে দোকানে যাওয়া বন্ধ করে দেয় সে।

তিনি আরও জানান, সোমবার বিকেলে কোম্পানি থেকে মালামাল রাখার জন্য দোকানে যায় মিল্লাত। দোকান থেকে রাত ১১টার দিকে বাড়িতে ফেরার সময় ইসলামিয়া স্কুলের সামনে আসলে ওই এলাকার ছাত্রলীগ নেতা রকি ও রিয়াজসহ ৫ থেকে ৬ জন মিলে মিল্লাতের মুখ বেঁধে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এতে মিল্লাতের মাথা ফেটে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থান ফুলে যায়। তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে অজ্ঞান অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।

মিল্লাতের স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া অভিযোগ করে জানান, তার স্বামীকে হামলাকারীরা পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়। হামলার পর থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত তার জ্ঞান ফেরেনি।

ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার জানান, রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়ে মোকাবিলা করতে হবে, এভাবে দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে নির্যাতন করে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায় না। এ হামলার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে যথাসাধ্য ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা রকি ও রিয়াজকে একাধিকবার কল করেও তাদের পাওয়া যায়নি।

তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, এ ঘটনায় থানায় কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ করলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর