বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি জনস্বার্থবিরোধী: সুজন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ২১:৪০

সুজনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আদানি গ্রুপ থেকে বিদ্যুৎ কিনতে দেশে উৎপাদিত বিদ্যুতের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি দাম দিতে হবে। একইসঙ্গে গুনতে হবে কয়লা সরবরাহকারী, পরিবহনকারী ও বন্দর অপারেটরদের সব জরিমানা ও ক্ষতিপূরণ। এছাড়া চুক্তিতে ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে স্বেচ্ছাচারী একটি সংখ্যা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। আমরা এই চুক্তিটিও পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

ভারতের আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তিকে জনস্বার্থবিরোধী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। চুক্তিটি পুনর্বিবেচনা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

সুজনের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি স্পষ্টতই জনস্বার্থবিরোধী। কারণ আদানি গ্রুপ থেকে বিদ্যুৎ কিনতে দেশে উৎপাদিত বিদ্যুতের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি দাম দিতে হবে। একইসঙ্গে গুনতে হবে কয়লা সরবরাহকারী, পরিবহনকারী ও বন্দর অপারেটরদের সব জরিমানা ও ক্ষতিপূরণ।

‘আরেকটি প্রধান বিষয় হলো ক্যাপাসিটি চার্জ, যাতে চুক্তিতে স্বেচ্ছাচারী একটি সংখ্যা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। আমরা এই চুক্তিটিও পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

দেশের বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানির গভীর সংকট কাটাতে দেশের জনগণ, নাগরিক সমাজ, বিভিন্ন অংশীজন ও রাজনৈতিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে জনবান্ধব নীতি প্রণয়ন এবং এর আলোকে যথাযথ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা জরুরি বলে মনে করছে সুজন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, দেশের বিদ্যুৎ খাত নিয়ে একের পর এক অবিবেচনাপ্রসূত ও জনস্বার্থ পরিপন্থী সিদ্ধান্ত গৃহীত হচ্ছে, যা এই খাতকে ক্রমশ গভীর সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

‘সম্প্রতি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ভারতের বিতর্কিত আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয়ের অসম, অস্বচ্ছ ও বৈষম্যমূলক চুক্তির বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। ওই চুক্তিতে বর্তমান বাজার দর থেকে কয়েক গুণ বেশি দামে আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কেনার কথা বলা হয়েছে, যা দেশের মানুষের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করবে বলে আমরা মনে করি।’

আইন সংশোধন করে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর ক্ষমতা সরকারের হাতে আনায় গণশুনানির মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাদ দিয়ে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়ায় নাগরিকদের অংশগ্রহণের অধিকারকে খর্ব করা হয়েছে বলেও মনে করছে সুজন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিদ্যুৎ খাতের এসব ঘটনার মধ্যেই বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ডলারের চলতি বিনিময় হার ধরে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে নতুন চুক্তি করছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। গত এক বছরে ডলারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় পিডিবিকে ১২ হাজার কোটি টাকা বাড়তি ব্যয় করতে হয়েছে।

‘এ অবস্থায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে নতুন করে ডলারে চুক্তি আমাদের বিদ্যুৎ খাতকে আরও সংকটে ফেলে দেবে বলে আমরা মনে করি।

‘ধারণা করা যায় যে, গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করেই এ বাড়তি ব্যয় মেটানো হবে, যা জনগণের জীবনযাত্রাকে আরও দুর্বিষহ করে তুলবে। সরকারকে ডলারে চুক্তির এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে যে ক্ষেত্রে একান্তই ডলার ব্যতীত বিনিময় সম্ভব নয় সেগুলো বাদে অন্যান্য বিনিময় দেশীয় মুদ্রায় করার জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

এ বিভাগের আরো খবর