বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএনপির আন্দোলনের জবাবে নির্বাচনি প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ

  •    
  • ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১০:৫৩

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্ল্যাহ নিউজবাংলাকে বলেন, দলের নির্বাচনের প্রস্তুতি আগেই শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় সম্মেলন হয়েছে। জেলা-উপজেলায় সম্মেলন ও কমিটি হচ্ছে। এদিকে কেন্দ্রীয় নেতারা দেশব্যাপী সাংগঠনিক সফর করছেন। বিএনপির আন্দোলনের জবাবে নেতাকর্মীরা মাঠে নেমেছেন।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত সারা দেশে তাদের ‘শান্তি সমাবেশ’ চলবে। এসব সমাবেশে যোগ দেবেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। এরই মধ্যে শুরু হওয়া ইউনিয়ন পর্যায়ের শান্তি সমাবেশে যোগ দিয়েছে আওয়ামী লীগের ৪৫টি টিম।

দলটির অভ্যন্তরীণ সূত্রগুলো বলছে, এতে যেমন নেতাকর্মীরা চাঙা হচ্ছেন, সাংগঠনিক কার্যক্রম বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনি হচ্ছে নির্বাচনের প্রস্তুতিও। কেননা সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতারা স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নির্বাচনের প্রস্তুতির নির্দেশ দিচ্ছেন, সেজন্য করণীয় ঠিক করে দিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, কোথাও কোনো সাংগঠনিক সমস্যা থাকলে সেগুলো ঠিক করা হচ্ছে। আর অনেক আগে থেকেই ধারাবাহিকভাবে দেশব্যাপী সম্মেলন এবং কমিটি ঘোষণার কাজ চলছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্ল্যাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দলের নির্বাচনের প্রস্তুতি আগেই শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় সম্মেলন হয়েছে। জেলা-উপজেলায় সম্মেলন ও কমিটি হচ্ছে। এদিকে কেন্দ্রীয় নেতারা দেশব্যাপী সাংগঠনিক সফর করছেন। বিএনপির আন্দোলনের জবাবে নেতাকর্মীরা মাঠে নেমেছেন।

রাজধানীর একটি সমাবেশে আওয়ামী লীগের কর্মীরা। ফাইল ছবি

‘দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে আগামী নির্বাচনের জন্য ভোট চাইতে শুরু করেছেন। বিভিন্ন জেলায় সাংগঠনিক সফর এবং জনসভা করছেন। নেতা-কর্মীদের জনগণের কাছে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে আগামী নির্বাচনের দিকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।’

দলটির সূত্র জানায়, এ মাসের প্রথম দিকে মাঠ দখলে তৃণমূলকে চার দফা নির্দেশ দেয় আওয়ামী লীগ। সেগুলো হলো- সারাদেশে বিএনপি-জামায়াত অশুভ শক্তির সন্ত্রাস-নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্রমূলক অপরাজনীতির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে ইউনিয়ন পর্যায়ে ‘শান্তি সমাবেশ’ আয়োজন। সর্বোচ্চ সংখ্যক উপস্থিতি নিশ্চিত করে যথাযথভাবে দিবসভিত্ত্বিক কর্মসূচি পালন। সারা দেশে ‘সদস্য সংগ্রহ অভিযান’ জোরদার করা এবং যে সব সাংগঠনিক জেলা ও উপজেলা শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে দ্রুত সে সব শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা। মেয়াদোত্তীর্ণ সাংগঠনিক উপজেলা/থানা/পৌর/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড ও ইউনিটের সম্মেলন সম্পন্ন করা।

দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং কৃষি মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘নির্বাচনের আগে দলকে প্রস্তুত করতে এসব কর্মকাণ্ড চলতেই থাকবে। আর বিএনপির তথাকথিত আন্দোলনের জবাবে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মাঠে আছে, থাকবে। কেননা সুযোগ পেলেই তারা নাশকতা করার অপচেষ্টা করে।’

মাঠ দখলের এই কৌশলও নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই। নির্বাচনে বিজয়ী হতে হলে মাঠের রাজনীতি জিততে হবে।’

বেশ কিছুদিন ধরে আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে সরকার বিরোধী আন্দোলন ঠেকাতে দলের কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের রাজপথে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গেছে। বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের বিপরীতে পাল্টা বিভাগীয় শান্তি সমাবেশ, ইউনিয়ন পর্যায়ের কর্মসূচির বিপরীতে পাল্টা কর্মসূচিও ছিল ক্ষমতাসীন দলের। রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত তা অব্যাহত আছে।

দলীয় কর্মসূচিতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ নিউজবাংলাকে জানান, আগামী নির্বাচনের মনোনয়নের লক্ষ্যে মাঠ জরিপ চলছে।

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে একাধি মাঠ জরিপ হয়েছে। দলের সংসদীয় দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভাপতি স্পষ্ট জানিয়েছেন, জরিপের ফলাফলের ভিত্তিতে মনোনয়ন দেয়া হবে।’

হানিফ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নির্বাচনি প্রস্তুতি চলছে। আমরা অন্যান্য দলকেও সে আহবান জানিয়েছি। কিন্তু বিএনপি তথাকথিত আন্দোলনে নেমেছে। আমাদের দলও তার জবাব দিয়েছে। নেতা-কর্মীরা রাজপথে নেমেছেন।

‘এতে নির্বাচনের অনেক আগেই নির্বাচনি আবহ তৈরি হয়েছে। নেতা-কর্মীরা সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় সংযুক্ত হওয়ার পাশাপাশি আগামী নির্বাচনের জন্যও তৎপর হয়েছেন।’

এ বিভাগের আরো খবর