নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পরকীয়া প্রেমের জেরে সন্তান হত্যার দায়ে বিলকিস বেগমের যাবজ্জীবন এবং তার প্রেমিককে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ও বিশেষ ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক উম্মে সরাবন তহুরা রোববার দুপুরে এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. সোলাইমান জামালপুর জেলার গড়পাড়া এলাকার বাসিন্দা।
আর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিলকিস বেগম পটুয়াখালী জেলার খারি জমা ঝাটি বুনিয়া এলাকার বাসিন্দা।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মাকসুদা আহামেদ জানান, মামলার তদন্তে বেরিয়ে আসে শিশুটির মা বিলকিসের সঙ্গে সোলাইমানের পরকীয়া প্রেম ছিল। শিশু মরিয়ম আক্তার তার মা বিলকিসের আগের সংসারের সন্তান। শিশু মরিয়মের কারণে দাম্পত্য জীবন সুখি না হওয়ায় পরিকল্পিতভাবে তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ গুম করে বিলকিস ও সোলাইমান।
গ্রেপ্তারের পর তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতেও একই কথা জানায়। এ মামলায় পুলিশ কর্মকর্তা, ম্যাজিস্ট্রেটসহ ১৩ জন সাক্ষির সাক্ষ্য শেষে আদালত রায় ঘোষনা করেন।
তিনি আরও জানান, রায়ে সোলাইমানকে মৃত্যুদণ্ড ও বিলকিসকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড ও হত্যার পর মরদেহ গুম করার অপরাধে দুইজনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও আরও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, ২০১৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ফতুল্লার পশ্চিম নন্দলালপুর নাককাটা এলাকার একটি চার তলা বিল্ডিংয়ের বাউন্ডারি ওয়ালের ভেতরে থেকে শিশু মরিয়মের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক সাইদুজ্জামান হত্যা মামলা করেন। ২০১৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় আদালতে এই দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।