ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় অনুষ্ঠিত প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলাতে দেখা মিলল পোষা টিয়া ও বিড়ালের। ছিল আরও নানান জাতের পশু-পাখি। এসব পশু-পাখির কলতানে মুখরিত হয়ে ওঠে পশু সম্পদ হাসপাতাল মাঠ। ২৯টি স্টলে কয়েকশত পশু-পাখির প্রদর্শন করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পশু সম্পদ হাসপাতাল মাঠে শনিবার দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী চলে। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক মেলার উদ্বোধন করেন।
প্রদর্শনীর একটি স্টলে গিয়ে দেখা যায়, ৮৫২ কেজি ওজনের মহিষ। মুহড়া জাতের ওই মহিষটি নিয়ে এসেছেন আখাউড়ার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামের খামারি মো. ইয়াছিন মিয়া। বিশাল আকারের এ মহিষ দেখতে অনেকেই ভিড় জমান।
মো. মাওলা নিয়ে এসেছেন ভারতের রাজস্থানের তোতা পরী জাতের একটি খাসি। শখ করে নাম রেখেছেন বাদলা। ১১ মাসে এ খাসিটির ওজন ৫৫ কেজি। আগামী ঈদ বাজারে খাসিটি বিক্রির টার্গেট নিয়ে রেখেছেন মাওলা।
মো. মাওলা জানান, তিনি ময়মনসিংহ থেকে খাসিটি সংগ্রহ করেন। পৌর এলাকার দুর্গাপুরে নিজ দোকানে শালিক, ঘুঘু, ময়না, টিয়া, কবুতর পালন করেন যা প্রদর্শনীর জন্য নিয়ে এসেছেন তিনি ।
মেলায় ঘুরে দেখা যায়, কাঁধে টিয়া পাখি নিয়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে এক শিশু। টিয়া পাখিটি তার নিজের নাম মিঠু মিঠু বলে ডাক হাঁকাচ্ছে। টিয়া পাখিটি আদর করছে শামীমের গালে। শামীমের যত্নও কম নয় পাখিটিকে ঘিরে।
শিশু শামীম জানায়, তার মামার পাখিটিকে লালন-পালন করেন। মেলায় টিয়া ছাড়াও আরও কিছু নিয়ে এসেছেন তার মামা।
পারসিয়ান বিড়াল দেখতে কুকুর ছানার মতো। চাহনি বাঘের চেয়ে কম নয়। বয়স প্রায় দেড় বছর। গায়ের রং সাদা। একটি টেবিলের রেখে সারা শরীরজুড়ে হাতের পরশ বুলিয়ে যাচ্ছেন শফিকুল ইসলাম তুরান।
শফিকুল ইসলাম তুরান জানান, তিনি বিড়ালটির নাম রেখেছেন আইরিস। বিশেষ খাবার ও দুধ খেতে দেন এটিকে। প্রতিমাসে খরচ প্রায় হাজার দেড়েক টাকা। তিন মাস বয়সের সময় ২০ হাজারে কেনা এ বিড়ালটি এখন চাইলেই ৩০ থেকে ৩৫ হাজারে বিক্রি করা যাবে।
মেলা ঘুরে আরও দেখা যায়, বিদেশি একটি কুকুরও প্রদর্শনীর জন্য আনা হয়। অনেকেই মেলায় পোষা প্রাণীও নিয়ে এসেছেন। প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের পক্ষ থেকে মেলায় প্রাণী চিকিৎসার জন্য নতুনভাবে আসা বেশকিছু যন্ত্রপাতি প্রদর্শন করা হয়।