চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গাছে বেঁধে মারধর ও তার বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নির্যাতনের শিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ হোসেন উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। এ ঘটনায় মঙ্গলবার তার মেয়ে মাজেদা বেগম বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে হাটহাজারী থানায় মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের মো. লোকমান, তার স্ত্রী মাহিদ সুলতানা, দুই ছেলে আব্দুল হাকিম ও সাকিব। তাদের মধ্যে মাহিদ সুলতানাকে বুধবার গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিবেশী লোকমান তার দুই ছেলেকে নিয়ে ১৫ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি দু’দফায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ হোসেনের ওপর নির্যাতন চালান। এর মধ্যে ১৭ ফেব্রুয়ারি তাকে নিজের বাড়ির উঠোনে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর ও বাড়ি ভাংচুর করেন ওই তিনজন। ওইদিন আহমেদ হোসেনের স্ত্রী-কন্যাকেও মারধর করেন তারা।
ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ হোসেন বলেন, ‘আমার বসত ভিটার কিছু অংশ নিজের দাবি করে সেখানে দেয়াল নির্মাণ করতেছে ওরা। বাধা দেয়ায় ওরা আমার বাড়িতে হামলা ও আমাকে বেঁধে মারধর করেছে। আমার স্ত্রী-কন্যাকেও ওরা ছাড়েনি।
‘শুরুতে ১৫ তারিখ আমাকে গাছে বেঁধে ওরা মারধর করে। আমার মেয়ে শুরুতে মেম্বারকে কল দিলে তিনি চৌকিদার পাঠিয়েছিলেন। চৌকিদার আসার খবর পেয়ে তারা আমার বাঁধন খুলে দেয়। পরে আমার মেয়ে ৯৯৯-এ কল দিলে পুলিশ এসে দেয়াল নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু পুলিশ চলে যাওয়ার পর পুনরায় তারা কাজ শুরু করে দেয়ালটা তৈরি করে।’
তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় দফায় ১৭ তারিখ দেয়ালে পানি দেয়ার সময় আমাকে আবারও গাছে বেঁধে নির্যাতন করে ওরা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
হাটহাজারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নুরুল আলম বলেন, ‘ঘটনার পর মঙ্গলবার ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে চারজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। আসামিদের মধ্যে একজনকে বুধবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’