সর্বনিম্ন মাসিক মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণাসহ ১০ দফা দাবি নিয়ে ফের আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নৌযান শ্রমিকরা। আগামী ৫ দিনের মধ্যে দাবি মানা না হলে ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ধর্মঘটে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের নেতারা।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম সোমবার রাতে নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানান।
শাহ আলম বলেন, ‘এটি নৌযান শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি। ৭ বছর আগের মজুরি দিয়ে বর্তমান বাজারে পরিবার চালানো সম্ভব না। এখন সবকিছুরই বাড়তি দাম। আমরা দীর্ঘদিন থেকেই দাবি জানিয়ে আসছি। গত বছরের নভেম্বরে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে। কিন্তু তিন মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি চোখে পড়েনি।’
তিনি বলেন, ‘২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আমাদের দাবি মেনে নিয়ে সমস্যার সুরাহা করতে হবে। তা না হলে আমরা ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ধর্মঘটে যাবো। এই সময়ের মধ্যে সমাধানের পথে না হাঁটলে উদ্ভূত পরিস্থিতির দায় সরকার ও নৌযান মালিকদের নিতে হবে।’
নৌ-যান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের নেতারা বলেন, ন্যায়সংগত দাবি মেনে না নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত চলছে। সরকার মালিকদের ভাষায় কথা বললে পরিস্থিতি খারাপ হবে।
নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের সদস্য আতিকুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘নৌযান শ্রমিকদের ১০ দফা দাবি আদায়ে এক মাস সময় নেয়া হলেও প্রায় ৩ মাস পেরিয়ে গেলেও নূন্যতম কোনো অগ্রগতি চোখে পড়েনি। এ সময়ে শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মাসিক মজুরি ২০ হাজার টাকা চাওয়া আমাদের যৌক্তিক দাবি। আমাদের দাবিগুলো মেনে নেয়া না হলে আমরা ফের কর্মসূচিতে যাবো।’
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- নৌযান শ্রমিকদের বেতন সর্বনিম্ন মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ; শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক প্রদান; ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিংপাস দেয়া; বাল্কহেডের রাতে চলাচলের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা; বাংলাদেশের বন্দরগুলো থেকে পণ্যপরিবহন নীতিমালা শতভাগ কার্যকর করা; চট্টগ্রাম বন্দরে প্রোতাশ্রয় নির্মাণ ও চরপাড়া ঘাটের ইজারা বাতিল; চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পাইপলাইনে জ্বালানি তেল সরবরাহের চলমান কার্যক্রম বন্ধ করা; কর্মস্থলে ও দুর্ঘটনায় মৃত্যুজনিত ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ; কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড ও নাবিক কল্যাণ তহবিল গঠন; দেশের বন্দরগুলো থেকে পণ্য পরিবহন নীতিমালা ১০০ ভাগ কার্যকর এবং নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের সব ধরনের অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা বন্ধ করা।