পরীক্ষার সময় পরিচয় শনাক্তে ছাত্রীদের কানসহ মুখমণ্ডল খোলা রাখার যে নির্দেশনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগ দিয়েছে, তা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
ছাত্রীদের পক্ষে রোববার এ রিট করেন তাদের আইনজীবী মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঢাবির বাংলা বিভাগের সব ধরনের পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের কান, মুখ খোলা রাখতে নির্দেশনা দিয়ে গত ১১ ডিসেম্বর বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান একটি বিজ্ঞপ্তি দেন। ওই বিজ্ঞপ্তিটি চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে।’
রিটে শিক্ষা সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়।
ঢাবির নোটিশ কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহিভূর্ত ঘোষণা করা হবে না এবং ওই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার ও মুসলিম নারী শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় আচার পালনে বাধা না দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, সে মর্মে রুল জারির প্রার্থনা করা হয় রিট আবেদনে।
পাশাপাশি রুল বিবেচনার সময় ওই বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়।
ঢাবির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বাংলা বিভাগের সকল শিক্ষার্থীকে জানানো যাচ্ছে যে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বাংলা বিভাগের অ্যাকাডেমিক কমিটি সর্বসম্মতভাবে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে: ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী বাংলা বিভাগের প্রতি ব্যাচের সংযোগ ক্লাস (টিউটোরিয়াল/প্রেজেন্টেশন), মিডটার্ম পরীক্ষা, চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীকে পরিচয় শনাক্ত করার জন্য কানসহ মুখমণ্ডল পরীক্ষা চলাকালীন দৃশ্যমান রাখতে হবে।’”
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, “এ সিদ্ধান্ত প্রতিটি ক্লাসে শিক্ষকগণ ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের অবহিত করেছেন। কিন্তু লক্ষ করা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো শিক্ষার্থী এই সিদ্ধান্ত পালনে শৈথিল্য দেখাচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়: ‘১৮ সেপ্টেম্বর গৃহীত সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে যারা পালন করবে না, তাদের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’”
রিটকারী আইনজীবী জানান, কান ও মুখ খোলা রাখার বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিপন্থি। রিটে সেটিই উল্লেখ করা হয়েছে।