দিনাজপুর শহরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন স্বামী।
শুক্রবার রাত সোয়া ১০টায় স্বামী মনোয়ার হোসেন থানায় এসে স্ত্রীকে হত্যার বিষয়টি পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেন।
ওই গৃহবধূ হলেন ২৭ বছর বয়সী সুমাইয়া আক্তার হাসি। তিনি জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার সুজালপুর কলেজপাড়ার আব্দুল খালেকের মেয়ে।
গ্রেপ্তারকৃত স্বামী হলেন ৩৩ বছর বয়সী মনোয়ার হোসেন। তিনি দিনাজপুর শহরের ছোট গুড়গোলা এলাকা বাসিন্দা। মনোয়ার দিনাজপুর শহরের জেল রোডে জেলা কারাগারের মার্কেটের একটি দোকান ভাড়া নিয়ে মোবাইলের ব্যবসা করেন।
পরিবারের বরাত দিয়ে দিনাজপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিন্নাহ আল মামুন জানান, মনোয়ার হোসেন নতুন ঘাসিপাড়ার সনি বেগমের ফ্ল্যাটে দীর্ঘ এক বছর ধরে বসবাস করছেন। ইতোপূর্বে তার প্রথম স্ত্রী ছিল। তিনি প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেন। চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি সুমাইয়া আক্তার হাসিকে বিয়ে করেন।
তিনি আরও জানান, বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের মধ্যে ঝগড়াও হয়। শুক্রবার ভোর ৪টায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ঘরের ওয়ারড্রপের ড্রয়ারে ঢুকিয়ে রাখেন। শুক্রবার রাত সোয়া ১০টায় মনোয়ার কোতোয়ালী থানায় এসে পুলিশকে বিষয়টি জানান। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাতে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। শনিবার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
দিনাজপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিন্নাহ আল মামুন জানান, শুক্রবার রাতে সুমাইয়ার বড় ভাই ইসাহাক আলী কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা করেছেন।
সুমাইয়ার বড় ভাই ইসাহাক আলী বলেন, ‘মনোয়ার হোসেন একজন প্রতারক। আমার বোনকে সে প্রতারণা করে বিয়ে করেছে। সে খুব খারাপ মানুষ। আমার বোনকে হত্যা করেছে। আমি তার ফাঁসি চাই। মৃত্যুর বদলে মৃত্যু।’