ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্লট বরাদ্দ এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার(এস কে সিনহা) বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ পিছিয়ে আগামী ৪ মে ধার্য করেছে আদালত।
বুধবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ছিল। কিন্তু এদিন দুদক প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় বিচারক নতুন এ দিন ঠিক করেন।
২০২১ সালের ১০ অক্টোবর দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) মামলাটি করেন। মামলায় ৭ কোটি ১৪ লাখ ৫ হাজার ৮৬৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়।
মামলার এজাহারে জানা যায়, এস কে সিনহার ভাইয়ের নামে অবৈধভাবে বরাদ্দ নেয়া পূর্বাচলের প্লটটি ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে পূর্বাচল থেকে উত্তরার সেক্টর-৪ এ স্থানান্তর করেন। পরবর্তী সময়ে রাজউক থেকে অনুমোদনও করিয়ে নেন। প্লটের যাবতীয় অর্থ মোট ৭৫ লাখ টাকা তিনি নিজেই পরিশোধ করেন। পরে প্লটটিতে ৯ তলা ভবন নির্মাণ করেন।
দুদকের অনুসন্ধানকালে নিরপেক্ষ প্রকৌশলীর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, উত্তরা আবাসিক এলাকায় ভবন নির্মাণে ব্যয় হয় ৬ কোটি ৩১ লাখ ৫ হাজার ৮৬৫ টাকা। এ ছাড়া প্লটের মূল্য হিসেবে রাজউকে পরিশোধ করা হয় ৭৫ লাখ টাকা।
মামলার এজাহারে বলা হয়, এস কে সিনহা অসৎ উদ্দেশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে ভাই ও আত্মীয়ের নামে-বেনামে সম্পদ অর্জন করেছেন, যার কোনো বৈধ উৎস নেই বা তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ।