যশোরের শার্শা উপজেলার একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে কলেজছাত্রীর গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এক যুবককে আটক করা হয়েছে।
নাভারনের দক্ষিন বুরুজবাগান গ্রামের আহসান হাবিবের বাড়ির পশ্চিম পাশে একটি সেফটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে শুক্রবার বিকেলে ওই ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
১৮ বছর বয়সী জেসমিন আক্তার পিংকি যশোরের পলিটেকনিক কলেজের ছাত্রী। সে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানার কাজিরহাট কাওরিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় আহসান কবির অংকুর নামে এক ছাত্রকে আটক করেছে যশোর র্যাব-৬ এর সদস্যরা। সে ওই একই কলেজের ছাত্র। শার্শার বুরুজবাগান গ্রামের বাসিন্দা সে।
যশোর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৬) এর কোম্পানি লেফট্যানেন্ট কমান্ডার এম নাজিউর রহমান নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, প্রেমের সম্পর্কের অবনতির জেরে প্রেমিক অংকুর কৌশলে ওই কলেজছাত্রীকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে এসে আনুমানিক ৯ থেকে ১০ দিন আগে গলা কেটে হত্যা করে।
নাভারন সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার নিশাত আল-নাহিয়ান বলেন, ‘আমরা শুক্রবার দুপুরে জানতে পারি যশোর থেকে নিখোঁজ জেসমিন আক্তার পিংকির মরদেহটি বুরুজবাগান এলাকায় তারই এক সহপাঠী আহসান কবির অংকুরের বাসায় আছে। বাড়ির ভেতর ও চারিদিকে খোঁজাখুঁজির পরেও না পেয়ে বিকেল ৪টার দিকে আমরা সেফটিক ট্যাংক খুলে নিখোঁজ মেয়েটির মরদেহটি খুঁজে পাই।
‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে প্রেমের সম্পর্ক ধরে তাকে এখানে নিয়ে আসা হয়। পরে তাকে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য সেফটিক ট্যাংকের ভেতরে লুকিয়ে রাখা হয়। হত্যা করে লাশ গুমের ঘটনায় আহসান কবির অংকুর নামে তার এক সহপাঠীকে আটক করা হয়েছে।’