বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কলেজটির পরীক্ষার্থী ৭,পাস করেননি কেউই

  • প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম    
  • ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১২:৩২

কলেজে অধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি একা তো আর কলেজ চালাতে পারি না। কলেজে অন্যান্য শিক্ষকরা এখানে অনিয়মিত। তারা যদি নিয়মিত কলেজে আসত, শিক্ষার্থীদের পাঠদানে সক্রিয় থাকত তাহলে ফলাফলের এই হতাশায় পড়তাম না।’

দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে কুড়িগ্রামে এসএসসির পর এবার এইচএসসিতে শতভাগ ফেল করার ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, জেলার রাজারহাট উপজেলার সিঙ্গারডাবড়ীহাট বিএল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাতজন এইচএসসি পরীক্ষার্থীর কেউই পাশ করেনি।

বুধবার দুপুরে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর তোফাজ্জুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে রাজাহাট উপজেলার সিংগারডাবড়ীহাট বিএল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপিত হয় ২০০১ সালে এবং একাডেমিক অনুমোদন পায় ২০০৪ সালে।

এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে কোনো শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করেনি। মানবিক বিভাগে ১১ জন শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করলেও এইচএসসি পরীক্ষায় সাতজন অংশ নেয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে এই কলেজ থেকে অংশ নেয়া সাতজনের কেউই পাশ করতে পারেনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, আমি মানবিক শাখা থেকে এ বছর সিংগারডাবড়ীহাট বিএল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে থেকে পরিক্ষা দেই। আশা করছিলাম পাশ করব। অন্যান্য বিষয়ে ভাল নম্বর পেলেও ইংরেজিতে ফেল করেছি। আমাদের স্যারেরা ঠিকমতো ক্লাস না নেয়ায় আমার এই ফলাফল।’

অভিভাবক মোখলেসুর রহমান জানান, কলেজটি দায়সারাভাবে চলছে। এখানে শিক্ষকরা নিয়মিত না। তাই ক্লাস ঠিকঠাক মতো হয় না। সন্তানরাও ঠিকমতো পড়াশোনা না করায় এমন লজ্জাজনক ফলাফল।

অভিভাবক একরামুল হক বলেন, ‘আমার মেয়ে এ কলেজে থেকে পরীক্ষা দিয়েছে। কিন্তু এইচএসসি ফলাফলে আমার মেয়েই নয় ওই কলেজ থেকে যারা পরীক্ষা দিয়েছে সবাই ফেল করেছে।’

কলেজের সহকারী গ্রন্থাগারিক মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এই কলেজটি ননএমপিও। এখানে ১৫ জন শিক্ষকসহ স্টাফ আছে ১৯ জন।’

কলেজে অধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘আমার কলেজ থেকে এ বছর ১১ জন এইচএসসি পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছে। তবে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে মাত্র সাত জন।

কেউ পাস না করার বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমি একা তো আর কলেজ চালাতে পারি না। কলেজে অন্যান্য শিক্ষকরা এখানে অনিয়মিত। তারা যদি নিয়মিত কলেজে আসত, শিক্ষার্থীদের পাঠদানে সক্রিয় থাকত তাহলে ফলাফলের এই হতাশায় পড়তাম না।’

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা রংপুর বিভাগের পরিচালক প্রফেসর এসএম আব্দুল মতিন লস্কর বলেন, ‘শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপারে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর সভার মাধ্যমে একটি পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন হবে। সেই পর্যবেক্ষণ কমিটির নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে গত বছর এসএসসি পরীক্ষায় কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের খামার বড়াইবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চারজন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে সবার ফেল করার ঘটনা ঘটেছে। এই বিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগে ৯ম শ্রেণিতে ২৫ শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করলেও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল ৪ জন।

এ বিভাগের আরো খবর