বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দলটি এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়, যাতে দেশে অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসে।
সচিবালয়ে রোববার সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কাদের এ কথা বলেন।
বিএনপির আন্দোলন ব্যর্থ হচ্ছে দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সরকারের উন্নয়নে বিএনপির আন্দোলন তলিয়ে যাচ্ছে। এ দেশে আন্দোলনে হেরে গেলে নির্বাচনে তাদের জেতার সম্ভাবনা থাকে না। আমাদের দেশে যে দল আন্দোলনে বিজয়ী হয়, নির্বাচনেও তারা বিজয়ী হয়।
‘এখন আন্দোলনে তাদের পরাজয় ঘটেছে। কাজেই নির্বাচনে হেরে যাওয়ার আশঙ্কায় তারা এখন এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে চায়, যাতে অনির্বাচিত সরকার আসে। আরেকটা ওয়ান-ইলেভেন আসে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির লক্ষ্য আওয়ামী লীগ সরকারকে হটানো। তাদের আন্দোলনের টার্গেট ফেল করেছে। তারা ডিসেম্বর মাসের ১০ তারিখে সরকার পতনের টার্গেট নিয়ে নেমেছিল। কতকিছু দেখলাম! লাল কার্ড, গণঅভ্যুত্থান। ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ, এরপর ১১ জানুয়ারি। সবশেষে আমরা ৪ ফেব্রুয়ারিও দেখলাম।
‘তারা (বিএনপি) যে টার্গেট নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছিল, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পতন, গণঅভ্যুত্থানে জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া গণবিস্ফোরণ কী করে হয়, যেখানে জনগণই নেই? যে আন্দোলন, সেটা তাদের নেতা-কর্মীদের আন্দোলন। তাদের আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা হয়নি বলে তারা পথ হারিয়ে নীরব পদযাত্রায় নেমে এসেছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলন যখন ব্যর্থ হয়, তারা সন্ত্রাসের দিকে ঝুঁকে পড়ে। ২০১৩-১৪ সালে আমরা তা দেখেছি। সেই আশঙ্কা এখনও আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে হটাতে অন্য যে কেউ ক্ষমতায় আসুক, তাতে বিএনপির আপত্তি নেই। এটা হলো তাদের মনোভাব।
‘তাদের আজকের গোপন অভিসন্ধি, তাদের গোপন কর্মকাণ্ডের ধরন, তা থেকে এটা স্পষ্ট হয়ে উঠছে।’
আওয়ামী লীগের কাছে বাংলাদেশের জনগণ গুরুত্বপূর্ণ দাবি করে দলটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা বলেন, নির্বাচন পর্যন্ত নেতা-কর্মীরা রাজপথে থাকবেন।