দেশের অন্য পাঁচ আসনের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনে বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় শুরু হয় উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ভোট চলাকালে আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা গ্রামের বাজারে একটি দোকানে সদাই কিনতে যান ৫৫ বছর বয়সী সাফিয়া বেগম। সেই দোকান থেকেই জানতে পারেন, ভোট চলছে গ্রামে।
সাফিয়া নিউজবাংলাকে জানান, বাজার থেকেই আড়াইসিধা কাদির ভূঁইয়া (কে বি) উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে যান, কিন্তু তার সঙ্গে ছিল না ভোট দেয়ার প্রমাণপত্র। তাই বাড়িতে ফিরে যান পরিচয়পত্র আনতে।
ভোট শুরু হওয়ার পর আড়াইসিধা কে বি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল না বললেই চলে। এ স্কুলের পুরো কেন্দ্রে রয়েছে ১২টি কক্ষ, যার সবগুলোই নারীদের জন্য।
প্রিসাইডিং অফিসার জহিরুল ইসলাম জানান, ৪০ মিনিটে ৪টি ভোট পড়ে।
আড়াইসিধা গ্রামের ৬০ বছর বয়সী রাসিয়া বেগম ভোট দিতে আসেন ওই কেন্দ্রে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিতে সমস্যা হয়নি বলে জানান তিনি।
রাসিয়া জানান, মঙ্গলবার রাতে এক চিকিৎসকের কাছে জেনেছেন, বুধবার ভোট হবে। তাই সকাল সকালই চলে আসেন ভোট দিতে।
আড়াইসিধার মতো আশুগঞ্জের অন্য কিছু কেন্দ্রেও ভোটারদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো নয়।
ইভিএম জটিলতায় উপজেলার তারুয়া শালুক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট শুরু হয় ১২ মিনিট পর। কেন্দ্রে ৯টা পর্যন্ত ভোটার ছিলেন পাঁচজন।
কেন্দ্রটির ছয়টি কক্ষের তিনটিতে দেখা যায়নি কোনো এজেন্টকে। ১ ও ২ নম্বর কক্ষে ছিলেন শুধু গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থী জহিরুল ইসলামের ও লাঙ্গল প্রতীকের আবদুল হামিদ ভাসানীর এজেন্ট।
রওশনারা জলিল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ঘুরে ভোটারদের তেমন উপস্থিতি দেখা যায়নি।
প্রিসাইডিং অফিসার আশিক কায়সার জানান, কেন্দ্রটিতে ভোটার রয়েছে ৩ হাজার ১৮৩ জন। ভোট শুরুর এক ঘণ্টায় ভোট দিয়েছেন ২০ জন। শীতের সকাল হওয়ায় ভোটারদের আনাগোনা কম।
ভোটের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরবিন্দ বিশ্বাস জানান, উপজেলায় ৮ ইউনিয়নে ১ লাখ ৩২ হাজার ভোটার রয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হচ্ছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।