লেখক-প্রকাশকদের নিরাপত্তার হুমকি থাকলে তা পুলিশকে জানাতে বলেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। পুলিশ সে অনুযায়ী নিরাপত্তা দেয়ার ব্যবস্থা করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের একুশে বইমেলা প্রাঙ্গনে মঙ্গলবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা জানান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘একুশে বইমেলায় ধর্মীয় উসকানিমূলক লেখা বা বই প্রকাশের নামে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা ঠেকাতে সাইবার মনিটরিং ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। কোনো লেখক বা প্রকাশকের হুমকির শঙ্কা থাকলে আমাদের জানালে আমরা ব্যবস্থা নেব। কোনো সুনির্দিষ্ট হুমকি না থাকলেও হুমকি মাথায় নিয়ে এবার অন্য বছরের চেয়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে।’
তিনি বলেন, ‘বইমেলায় থাকছে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মেলা কেন্দ্রিক নিরাপত্তার পাশাপাশি শহীদ মিনার কেন্দ্রিক ও শাহবাগ-নীলক্ষেত কেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশেপাশে তল্লাশি দল থাকবে, সন্দেহজনক কিছু দেখলে তারা তল্লাশি করবেন। মূল মেলা প্রাঙ্গনে প্রবেশের আগে প্রতিটি প্রবেশপথে আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর থাকবে।
‘এ ছাড়া কাউকে সন্দেহ হলে তাকে পৃথক কক্ষে নিয়ে তল্লাশি করা হবে। মেলা প্রাঙ্গনসহ আশেপাশের এলাকার প্রতিটি জায়গা সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। মেলা প্রাঙ্গনে সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি পর্যাপ্ত সংখ্যক পোশাকধারী সদস্যও মোতায়েন থাকবে। মেলার আশেপাশে মোটরসাইকেল ও গাড়ি টহল থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া সিটিটিসি, বোম ডিসপোজাল ইউনিট, ক্রাইম সিন ভ্যান ও ডগ স্কোয়াড প্রস্তুত থাকবে। যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
‘মেলায় মেডিক্যাল টিম ও ফায়ার সার্ভিস মোতায়েন থাকবে। ডিএমপি কন্ট্রোল রুমের ভেতরে ব্রেস্ট ফিডিং কক্ষ থাকবে। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিয়মিত মেলা প্রাঙ্গনে আসবেন ও নিরাপত্তা বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করবেন।’