চট্টগ্রামসহ সারাদেশে বিভিন্ন দাবিতে দুই দিনের কর্মবিরতি শুরু করেছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিএন্ডএফ) এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন।
কাস্টমস এজেন্টস লাইসেন্সিং বিধিমালা-২০২০ এবং পণ্য চালান শুল্কায়নে এইচএস কোড ও সিপিসি নির্ধারণে প্রণীত বিভিন্ন বিতর্কিত আইন বাতিলের দাবিতে দেশের নৌ, বিমান ও স্থলবন্দরগুলোতে এই কর্মবিরতি শুরু করেছে তারা।
সোমবার সকাল থেকে দুই দিনের এ কর্মবিরতি শুরু করে সংগঠনটি। এতে চট্টগ্রামসহ সারাদেশের বন্দরগুলোতে বিল অব এন্ট্রি দাখিল ও শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু বলেন, ‘আমরা গত জুনেও বেশ কয়েকবার এনবিআরের সঙ্গে কথা বলেছি। কাস্টমস এজেন্টস লাইসেন্সিং বিধিমালা-২০২০ এ আগের কিছু আইন সংশোধন করা হয়েছে, যা আমাদের জন্য বিষফোঁড়ার মত। এগুলো মোটেই ব্যবসাবান্ধব নয়। এই আইনের কিছু ধারা সংশোধন ও বাতিলের দাবিতে আমাদের এই আন্দোলন।’
চট্টগ্রাম কাস্টমস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সুলতান হোসেন খান বলেন, ‘দেশের আমাদানি-রপ্তানির সিংহভাগ এই চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে হয়ে থাকে। এ কারণে চট্টগ্রামকে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী বলা হয়। আমরা সরকারকে বিব্রত করতে চাইনা, এটা সরকার বিরোধী আন্দোলনও না। আমাদের এই আন্দোলন ব্যবসা রক্ষা করে বেঁচে থাকার আন্দোলন।’
বিল অব এন্ট্রি ও শুল্কায়ন বন্ধের বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার মো. ফয়জুর রহমানের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি।