ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে মাদারীপুরের পথ-ঘাট-প্রান্তর। ভোর থেকে সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলেছে বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন। সকাল ১০টা পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের।
কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় থমকে গেছে মাদারীপুরের কর্মচাঞ্চল্য।
তীব্র এ শীতে সবচেয়ে বেশি বিপদগ্রস্তদের মধ্যে রয়েছেন দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ।
সোমবার সকালে মাদারীপুরের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা যায়, খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চলছে। উপায় না থাকায় শীত উপেক্ষা করে কাজে যাচ্ছেন চাকরিজীবী, শ্রমিক, কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। ঘন কুয়াশায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। ঠান্ডার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। গত কয়েকদিন তাপমাত্রা বাড়লেও সোমবার সকাল থেকে ঘন কুয়াশা বাড়তে থাকে। এতে দরিদ্র ও ক্ষেত খামারে কাজ করার মানুষের কষ্ট বেড়েছে কয়েক গুণ।
শকুনি লেকে বিএম শাহীন নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘এতোদিন শুনছি মাঘের শীত বাঘের গায়ে। হঠাৎ এমন কুয়াশা মাঘের শীতকে মনে করিয়ে দেয়। তাই বাসা থেকে বের হয়েছি, কিন্তু এখনই ঘরে চলে যেতে হবে। শীতে বাহিরে বেশি সময় থাকতে পারব না।’
আনোয়ার মোল্লা নামে এক অটোরিকশা চালক বলেন, ‘সকাল থেকে প্রচুর কুয়াশা। যে কারণে সকাল সাড়ে ৯টায় বের হয়েছি। এখনও কুয়াশা কমে নাই। মধ্যে কয়েকদিন শীত ছিল না, হঠাৎ সকাল থেকে কুয়াশা আর শীত পড়তে শুরু করেছে।’
হাঁটতে বের হওয়া আনিচুর রহমান বলেন ‘প্রতিদিন সকালে হাঁটতে বের হই। খুব শীত আর কুয়াশা পড়েছে। শীতে রোগবালাই বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাই সাবধান থাকতে হবে।’
মাদারীপুর আবহাওয়া অধিদপ্তর অফিসে কর্মরত জ্যেষ্ঠ পরিদর্শক এ.আর সান্টু জানান, গত সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সোমবার সকাল ৯টায়। বর্তমানের তাপমাত্রা ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি আরও জানান, আরও কয়েকদিন ঘন কুয়াশা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।