বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় নির্বাচন করতে পারবেন না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে বাসায় নিয়ে যাওয়ার জন্য তার ভাই ও বোন মুচলেকা দিয়ে বলেছেন, তিনি রাজনীতি করবেন না। এখন তিনি ১০ ডিসেম্বর এসে ক্ষমতা দখল করবেন, শেখ হাসিনার পতন ঘটাবেন! এসব হলো জনগণকে বিভ্রান্ত করা ও তাদের লোকদের কিছু খোরাক দেয়ার জন্য।’জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে বৃহস্পতিবার শেখ সেলিম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার ভাই ও বোন প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে অনুরোধ করেছিল তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় আনার জন্য। আসামিকে সরাসরি বাসায় আনা যায় না। যদি বাসায় বসে আবার রাজনীতি করে। সেই জন্য তাদের বললো (প্রধানমন্ত্রী) বাসায় এসে যদি আবার রাজনীতি করে তাহলে সেটাতো দেয়া যাবে না। তখন তারা মুচলেকা দিয়ে বলেছে খালেদা জিয়া রাজনীতি করবে না।’
২০০৭ সালে রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে তারেক রহমানের বিদেশে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে শেখ সেলিম বলেন, ‘একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেকের ৩০ বছরের সাজা হয়েছে। মানি লন্ডারিং মামলায় সাত বছরের সাজা হয়েছে। দেশে এলে তাকে কারাগারে যেতে হবে, নির্বাচন তো দূরের কথা।’
বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিদেশি কূটনীতিকদের হস্তক্ষেপের চেষ্টার কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আমেরিকার নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে বলেছিল।আমরা কি সেখানে গিয়ে বলেছি, আসো আমরা সালিশি করি? কিছুদিন আগে মালয়েশিয়ার নির্বাচন নিয়ে একই ধরনের অভিযোগ উঠেছিল। ওখানে কি আমরা হস্তক্ষেপ করেছি? আমাদের দেশের রাজনীতি নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের হস্তক্ষেপ করার কোনো অধিকার নেই।’বাংলাদেশের নির্বাচনে কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি হলে সেটা দেখার জন্য দেশের জনগণই যথেষ্ট বলে জানান শেখ সেলিম। তিনি বলেন, ‘যে দেশের জনগণ বঙ্গবন্ধুর ডাকে রক্ত দিতে পারে। সেই দেশের জনগণ বাইরের মাতব্বরি মেনে নেবে না।’