টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার লাউহাটিতে মহিষের আক্রমণে এক নারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২২ জন।
নিহতরা হলেন- লাউহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তারুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা হাসমত আলী খান এবং একই এলাকার কিতাব আলী ও হাজেরা বেগম।
এদের মধ্যে সোমবার রাত পৌনে এগারোটার দিকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাসমত আলী ও রাত সাড়ে বারোটায় টাঙ্গাইল থেকে ঢাকায় নেয়ার পথে কিতাব আলীর মৃত্যু হয়। এর আগে রোববার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাজেরা নামের আরও এক নারী মারা যান।
স্থানীয়দের ভাষ্য, রোববার সকাল ১০টার দিকে এলাসিন ইউনিয়নের মো. শরিফ মিয়ার মহিষটি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। পরে সেটি এলোপাতাড়ি দৌড়াতে থাকে।
এলাসিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মানিক রতন জানান, মহিষের আক্রমণে ৩টি গ্রামের বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে মহিষটির মালিক শরিফ মিয়াও রয়েছেন। তার অবস্থাও গুরুতর।
লাউহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিন মোহাম্মদ খান বলেন, ‘মহিষের আক্রমণে হাজেরা বেগম নামের এক নারী প্রথমে মারা যান। পরে অন্তত ৮-১০ জন ব্যক্তিকে আক্রমণ করে আহত করে মহিষটি। এদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে।’
এ নিয়ে দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, ‘মহিষটির আক্রমণের শিকার হয়ে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত ২২ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
টাঙ্গাইল জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রানা মিয়া বলেন, ‘অতি উৎসাহী লোকজন পিছু নেয়ায় মহিষটি আরও উত্তেজিত হয়ে উঠে। লোকজন মহিষটিকে ধাওয়া না করলে হয়তো হতাহতের সংখ্যা কম হতো। রোববার বিকেলে ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে প্রাণী ফ্রাংকুলাইজেশ (অচেতন) দল ঘটনাস্থলে যায়, তবে এর আগেই স্থানীয় লোকজন মহিষটিকে মেরে ফেলে।’