বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আসামির নামের মিলে বুয়েট প্রকৌশলীকে হয়রানি, তদন্তের নির্দেশ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ২৩:১১

আইনজীবী ফয়সাল হাসান আরিফ জানান, রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার অস্ত্র মামলায় ‘ডাবল’ যাবজ্জীবন সাজা হয় নরসিংদীর বাসিন্দা এস এম রাকিবুজ্জামান ওরফে রাকিব ওরফে মিঠুর। কিন্তু এলাকা ও নামের মিল থাকায় পুলিশ এখন বুয়েট থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পাস করা প্রকৌশলী মো. রাকিবুজ্জামান খানকে খুঁজছে।

অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামির নামের সঙ্গে মিল থাকায় বুয়েট প্রকৌশলী রাকিবুজ্জামান খানকে পুলিশের খোঁজার বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাকে গ্রেপ্তার ও হয়রানি না করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সোমবার বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেয়।

পুলিশের মহাপরদির্শক ও নরসিংদীর পুলিশ সুপারকে তিন মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছে আদালত।

আদালতে আবেদনের পক্ষের আইনজীবী ফয়সাল হাসান আরিফ জানান, রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় এক অস্ত্র মামলায় ‘ডাবল’ যাবজ্জীবন সাজা হয় নরসিংদীর বাসিন্দা এস এম রাকিবুজ্জামান ওরফে রাকিব ওরফে মিঠুর। কিন্তু এলাকা ও নামের মিল থাকায় বুয়েট থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পাস করা প্রকৌশলী মো. রাকিবুজ্জামান খানকে খুঁজছে পুলিশ।

পুলিশের হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে এবং ঘটনার তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি। আদালত শুনানি নিয়ে মামলার প্রকৃত আসামি কে তা তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলা থেকে জানা যায়, পয়েন্ট থ্রি এইট বোরের একটি রিভলবার ও ৫ রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগাজিনসহ তিন আসামিকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ১৯৯৯ সালের ১৬ আগস্ট মোহাম্মদপুর থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হয়। ওই মামলার এক নম্বর আসামি করা হয় এস এম রাকিবুজ্জামান ওরফে রাকিব নামে নরসিংদীর এক ব্যক্তিকে। অপর দুই আসামি হলেন মো. সালাউদ্দিন ও কামরুল রহমান ওরফে মনির।

এজাহারভুক্ত আসামি এস এম রাকিবুজ্জামান ওরফে রাকিবের নামের সঙ্গে চার্জশিটে মিঠু শব্দ যুক্ত করা হয়। তার বাবার নাম ডা. মো. কামরুজ্জামান খান ওরফে হিরু।

বিচার শুরুর পর ২০০৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জামিন পেয়ে পালিয়ে যান আসামি রাকিব ওরফে মিঠু। ২০১৪ সালের ১৩ জুলাই ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ১ম আদালত এবং মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এই মামলায় রাকিবসহ তিন আসামিকেই অস্ত্র আইনের দুটি ধারায় ‘ডাবল’ যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন। সব আসামি পলাতক থাকায় সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

এখন এই মামলায় প্রকৃত আসামি রাকিবের পরিবর্তে প্রকৌশলী মো. রাকিবুজ্জামান খানকে খুঁজছে পুলিশ। এমন অভিযোগ এনে প্রকৌশলী মো. রাকিবুজ্জামান খান চিঠি দিয়েছিলেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু কোনো সাড়া না পাওয়ায় তিনি রিট আবেদন করেন হাইকোর্টে।

প্রকৌশলী রাকিবুজ্জামানের দাবি, তার বাবার নাম মো. কামরুজ্জামান খান। তার বাবার নামের সঙ্গে আসামির বাবার নামের হুবহু মিল নেই। আসামির গ্রামের ঠিকানায় সৈয়দ বাড়ি উল্লেখ আছে। আর তার বাড়ি হচ্ছে খানবাড়ি। দুজনের গ্রামের নাম এক হলেও বাড়ি ও বংশ ভিন্ন।

এ বিভাগের আরো খবর