জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সামরিক শাখার প্রধান ও বোমা বিশেষজ্ঞ পাহাড় থেকে পালিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আত্মগোপন করেছিলেন বলে জানিয়েছে র্যাব।
বাহিনীটির ভাষ্য, পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন পাহাড়ে র্যাবের সাঁড়াশি অভিযানে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে আশ্রয় নেন নতুন ওই জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা। অবস্থান শনাক্তের পর কুতুপালংয়ে ৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশপাশে সোমবার ভোররাত থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে অস্ত্র-গোলাবারুদসহ সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কুতুপালংয়ে সোমবার দুপুরে ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন জামাতুল আনসারের সামরিক শাখার প্রধান ও শুরা সদস্য মাসিকুর রহমান মাসুদ ওরফে রণবীর ও তার সহযোগী বোমা বিশেষজ্ঞ আবু বাশার। তিনটি অস্ত্র ছাড়াও অভিযানে তিনটি ম্যাগাজিন, ১১২টি গুলি ও আড়াই লক্ষাধিক টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক জানান, নিখোঁজ বাড়িছাড়া যুবকদের সন্ধানে পাহাড়ে অভিযান শুরু করে র্যাব। তারই ধারাবাহিকতায় র্যাব জানতে পারে জামাতুল আনসারের দুই শীর্ষ জঙ্গি রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৭-এর আশপাশের এলাকায় আত্মগোপন করেছেন। খবর পেয়ে ক্যাম্পটি ঘিরে রাখেন র্যাব সদস্যরা।
তিনি জানান, অভিযানের একপর্যায়ে ক্যাম্প-৭-এর পাশে রাবার বাগান দিয়ে দুই জঙ্গি পালানোর চেষ্টা করেন। র্যাবের অবস্থান টের পেয়ে তারা গুলিবর্ষণও শুরু করেন। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও গুলি চালায়। পরে তারা আত্মসমর্পণ করেন। দুজন মূলত পাহাড় থেকে পালিয়ে ক্যাম্প এলাকায় অবস্থান নিয়েছিলেন।
র্যাবের এ কর্মকর্তা আরও জানান, রণবীরের নেতৃত্বে তরুণদের জঙ্গিবাদে জড়িয়ে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছিল। এর ভিত্তিতে পার্বত্য এলাকায় অভিযান হয়েছে। এ পর্যন্ত সংগঠনটির ৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সামরিক শাখার প্রধানসহ এবার গ্রেপ্তার দুজনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্তারিত তথ্য নেয়া হবে।
নতুন জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কেন এলো, তাদের সঙ্গে রোহিঙ্গার যোগসূত্র আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তাদের মাত্রই আটক করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে অস্ত্র-গোলাবারুদ রয়েছে। তাদের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের সম্পর্ক কী বা এখানে কেন এসেছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
‘যদি এখানেও তাদের কোনো কার্যক্রমের আলামত মিলে, তাহলে অভিযান আরও জোরদার করা হবে।’