বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে হত্যা ও রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাসহ মোট ১১ মামলার শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৫ মে দিন ঠিক করেছে আদালত।
সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত এ তারিখ ঠিক করে।
এদিন মামলাগুলোর শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে খালেদা জিয়া অসুস্থতাজনিত কারণে আদালতে উপস্থিত হতে না পারায় তার আইনজীবী শুনানি পেছানোর আবেদন করেন।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ১১ মামলার মধ্যে রয়েছে রাজধানীর দারুস সালাম থানায় করা নাশকতার আটটি মামলা, যাত্রাবাড়ী থানার দুটি ও রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগে ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি করা হয়।
যাত্রাবাড়ী থানার মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরি পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রল বোমা হামলা হয়। এতে বাসের ২৯ যাত্রী দগ্ধ হন।
পরে তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন মারা যান নূর আলম নামের এক যাত্রী।ওই ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন থানার উপপরিদর্শক এসআই কে এম নুরুজ্জামান।
একই বছরের ৬ মে খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক বশির আহমেদ।
অন্যদিকে ২০১৫ সালে দারুস সালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে আটটি মামলা করা হয়। এই আট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়।
২০১৭ সালের বিভিন্ন সময়ে মামলাগুলোয় অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। সব মামলায় খালেদা জিয়াকে পলাতক দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। পরে খালেদা জিয়া মামলাগুলোয় আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের করা অন্য দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়।
ওই কারাগার থেকে পরে চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়াারপারসনকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায়ই সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেয়ে তিনি গুলশানের বাসায় যান। এই বাসায়ই এখন থাকছেন তিনি।