জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামী মঙ্গলবার। তিন দিনব্যাপী হতে যাওয়া এই সম্মেলনে ২০টি কার্য-অধিবেশনে ২৪৫টি প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শপলা হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে হবে বিভিন্ন কার্য-অধিবেশন।
প্রতি বছর এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দেশের ৬৪ জেলার ডিসিদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের নীতি-নির্ধারকরা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুক্ত আলোচনা শেষে সরকারপ্রধানের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেবেন ডিসিরা। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নেবেন তারা।
এবার ডিসিরা জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকারের সঙ্গে সৈজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করবেন এবং নৈশভোজে অংশ নেবেন। এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্ট ভবনে প্রধান বিচারপতির সঙ্গেও সৈজন্য সাক্ষাৎ করবেন মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
সম্মেলনের শেষ দিন বঙ্গবভনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষৎ করে ডিসিরা তার নির্দেশনা গ্রহণ করবেন বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
মাহবুব হোসেন জানান, এ বছর ডিসি সম্মেলনে ২৬টি অধিবেশন হবে। কার্য-অধিবেশন রয়েছে ২০টি।
ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যক্রম জোরদারকরণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ পুনর্বাসন কার্যক্রম; স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসৃজন ও দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি বাস্তবায়ন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ই-গভর্নেন্স, শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার কল্যাণ, পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণরোধ, ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং উন্নয়ন কার্যক্রমের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও সমন্বয় নিয়ে ডিসি সম্মেলনে আলোচনা হবে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে ডিসি সম্মেলনে আলোচনার জন্য ২৪৫টি প্রস্তাব পাওয়া গেছে। এ বছর সবচেয়ে বেশি ২৩টি প্রস্তাব পাওয়া গেছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে।
গত বছর ডিসি সম্মেলনে নেয়া ২৪২টি সিদ্ধান্তের মধ্যে ১৭৭টি বাস্তবায়িত হয়েছে আর ৬৬টি প্রস্তাব বাস্তবায়নাধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।