বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জামালপুরে একই দিনে দুই নারীর ৮ সন্তান প্রসব

  • প্রতিনিধি,জামালপুর   
  • ২০ জানুয়ারি, ২০২৩ ০৯:১৯

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের চিকিৎসক প্রসন দেবনাথ বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের আগে জন্মগ্রহণ করায় শিশুদের ওজন কম, এতে কিছুটা ঝুঁকিতে রয়েছে তারা।’

একটি দুটি নয়, একে একে আটটি সন্তান প্রসব করেছেন জামালপুরের দুই নারী।

জামালপুর শহরের দেওয়ানপাড়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সিজারিয়ান অপারেশনে চারটি মেয়ে সন্তান প্রসব করে আঞ্জুয়ারা বেগম।

গর্ভকালীন সময়ে পরীক্ষার মাধ্যমে তিনটি শিশু গর্ভে থাকার কথা জানলেও অপারেশনের পর ৪টি কন্যা সন্তান পেয়ে উচ্ছ্বসিত স্বজনেরা।

ওই শিশুদের ফুপু ছানোয়ারা বেগম বলেন, ‘আমরা আগে আল্ট্রাসনোগ্রাম করেছিলাম। তখন পেটে তিনটি শিশু আছে বলে জানতে পারি। গর্ভে শিশুদের নাড়াচাড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বুধবার বিকেলে ক্লিনিকে ভর্তি করি। এরপর ডাক্তার সিজারের সিদ্ধান্ত নেন। সিজারের পর আমরা দেখি চারজন মেয়ে সন্তান। আলহামদুলিল্লাহ, আমরা এখন অনেক খুশি।’

অপারেশনের পরই নবজাতক ওই চার শিশুকে পাঠানো হয় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে তাদের বিশেষায়িত নবজাতক সেবাকেন্দ্রে রেখেছে সেখানকার চিকিৎসক বলেও জানান তিনি।

বিয়ের সাত বছর পর একসঙ্গে চার কন্যা সন্তানের জনক হতে পেরে আবেগে আপ্লুত আতাউর হোসেন বাবু। পেশায় দরিদ্র কাঠমিস্ত্রি বাবু মিয়া এ সন্তান পালনে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা।

জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চর সরিষাবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা আতাউর রহমান বাবু বলেন, ‘আমি সাত বছর আগে বিয়ে করি। আমাদের কোনো সন্তান হয়না। আমরা আল্লাহর কাছে একটি সন্তান ভিক্ষা চেয়েছি অনেকবার। আজ আল্লাহ আমার দিকে তাকাইছে। আমি অনেক খুশি।’

আতাউর রহমান বাবু আরও বলেন, ‘আমি অনেক গরীব। এখন কীভাবে এই মেয়েদের লালন পালন করব সেটা নিয়েই দুশ্চিন্তায় আছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি একটু সহায়তা করতেন তাহলে এ সন্তানদের লালন-পালন করতে পারতাম।’

শিশুদের দাদী জমিলা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলের ঘরের সন্তান হচ্ছিলনা। তাই আমি সাত বছর যাবত অনেক আফসোস করেছি। আল্লাহ আমার কোল ভরে দিয়েছে। আমি অনেক খুশি। এখন কাকে ছেড়ে কাকে কোলে নিব, সেটাই বুঝতে পারছি না।’

এদিকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে সাজু-দুলেনা দম্পতির কোলেও আসে ৪টি সন্তান। তিন কন্যা সন্তান স্বাভাবিক থাকলেও মারা যায় একটি ছেলে সন্তান।

আগের পাঁচ সন্তানসহ মোট ৮ সন্তানের পিতা হতে পেরে আনন্দে আত্মহারা সাজু মিয়া।

জেলার ইসলামপুর উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের পোড়ার চর মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কৃষক সাজু মিয়া বলেন, ‘আমার পাঁচটি সন্তান রয়েছে। আজ আরও তিন সন্তানের বাবা হলাম। আমি আমার আনন্দ বলে বোঝাতে পারবনা।’

হাসপাতাল চত্বরে শিশুদের স্বজনদের মাঝে চলছে খুশির আমেজ। একই দিনে দুই নারীর আট সন্তান প্রসবের ঘটনা আগে দেখেনি হাসপাতালের কর্মচারীরা। শিশুদের দেখতে হাসপাতালে ভিড় জমাচ্ছেন উৎসুক জনতা।

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডের সিনিয়র নার্স শিউলি খানম বলেন, ‘আমি ১০ বছর যাবত প্রসূতি ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করছি। এর আগে কখনো একই দিনে দুই নারীর ৮ সন্তান প্রসবের ঘটনা দেখিনি। অবাক হয়ে গেছি।’

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের চিকিৎসক প্রসন দেবনাথ বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের আগে জন্মগ্রহণ করায় শিশুদের ওজন কম, এতে কিছুটা ঝুঁকিতে রয়েছে তারা।’

এ বিভাগের আরো খবর