বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ

  •    
  • ১৮ জানুয়ারি, ২০২৩ ০৯:২৫

কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি দাউদ জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে। পরে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কিশোরগঞ্জে ঘরের আড়াঁর সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই নারীর পরিবারের দাবি, এটি তার স্বামীর পরিকল্পিত হত্যা। এ ঘটনার পর থেকে ৫ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে স্বামীসহ পরিবারের সকল সদস্যরা পলাতক আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়ন মধ্যনগর এলাকায় স্বামীর বসতঘরে মঙ্গলবার দুপুরে

এ ঘটনা ঘটে। তবে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ২৫ বছর বয়সী গৃহবধূর নাম উর্মি আক্তার। তিনি অষ্টগ্রাম সদর ইউনিয়নের কানঠাকুর দিঘীরপাড় গ্রামের বাসিন্দা সিজিল মিয়ার মেয়ে। অপরদিকে অভিযুক্ত জিল্লুর রহমান কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের মধ্যনগর এলাকার বাসিন্দা মতিউর রহমানের ছেলে।

কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উর্মি আক্তারের বড় ভাই সাহেব মিয়া জানান, ৭ বছর আগে জিল্লুর রহমানের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তার ছোট বোন উর্মির। বিয়ের দুই বছর পর জন্ম হয় তাদের মেয়ের। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় ব্যবসা করার নামে যৌতুক দাবি করতেন জিল্লুর। বোনের সংসারে শান্তির চিন্তা করে গত দেড় বছর আগে বাবার জমি বিক্রি করে চার লাখ টাকা এনে দেন জিল্লুরকে। তারপর কিছুদিন বন্ধ ছিল নির্যাতন।

পরে সে টাকা জুয়া খেলে ও নেশা করে উড়িয়ে দেন জিল্লুর। কিছুদিন আগে আবারও টাকার জন্য চাপ দিতে শুরু করে। কিন্তু বাবার বাড়ি থেকে আর টাকা আনতে পারবেননা বলে জানিয়ে দেন উর্মি৷

সাহেব মিয়া বলেন, ‘মূলত টাকার জন্যই তার বোনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ঘরের আড়াঁর সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এ ঘটনা হয়তো মেয়ে দেখে ফেলেছে, এজন্য তাকেও সঙ্গে নিয়ে বাড়ির সবাই পালিয়ে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার বোন আত্মহত্যা করতে পারে না। সে যদি আত্মহত্যা করত, তবে জিল্লুরের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা পালিয়ে যেত না। এটা কোনভাবেই আত্মহত্যা হতে পারেনা, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আর এতে তার পরিবারের সদস্যরাও জড়িত। বোন হত্যার বিচার দাবি করছি।’

মেয়ের শোকে বারবার মুর্চা যাচ্ছেন উর্মির বাবা সিজিল মিয়া।

তিনি বলেন, ‘মেয়ের শান্তির চিন্তা করে জমি বিক্রি করে জামাইকে দিলাম। আর সেই জামাই আমার মেয়েকে হত্যা করলো! মেয়ের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’

ওসি দাউদ জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে। পরে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান ওসি।

এ বিভাগের আরো খবর