ঢাকার অদূরে ধামরাইয়ে বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে সৃষ্ট আগুনে দগ্ধ ৫ জনই মারা গেলেন। সবশেষ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যান হোসনে আরা।
ধামরাইয়ের ইসলামপুর কুমরাইল এলাকার বাসায় ৭ জানুয়ারি ভোরে ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দগ্ধ হন মনজুরুল ইসলাম, তার স্ত্রী জোসনা আক্তার, তাদের শিশু সন্তান মরিয়ম আক্তার, সাদিয়া আক্তার ও হোসনে আরা।
তাদের মধ্যে শিশু মরিয়ম আক্তার বার্ন ইনস্টিটিউটে ৭ জানুয়ারি রাত আড়াইটার দিকে মারা যায়। এরপর মঙ্গলবার ভোরে মারা যান ১৯ বছরের তরুণী জোসনা আক্তার। এর ৫ ঘণ্টার ব্যবধানে আরেক তরুণী সাদিয়া আক্তার মারা যান।
দগ্ধদের উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা আবু সুফিয়ান বলেন, মনজুরুল ইসলাম পোশাক কারখানায় কাজ করেন। শনিবার সকালের দিকে তার স্ত্রী জোসনা আক্তার রান্না করতে গেলে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হয়। পরে আগুন ছড়িয়ে পড়লে পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে মনজুরুলের শ্যালিকা, ভাতিজি ও দুই বছরের শিশুকন্যা রয়েছে।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন বলেন, ‘ধামরাই থেকে শিশুসহ ৫ জন দগ্ধ হয়ে এসেছিলেন। একে একে চারজন মারা যান। শুধু হোসনেয়ারা চিকিৎসাধীন ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তার শরীরের ২৫ ভাগ দগ্ধ হয়েছিল।