নওগাঁয় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বড় ভাইয়ের কোদালের হাতলের আঘাতে ছোট ভাই মারা গেছে।
সদর উপজেলার শৈলগাছি ইউনিয়নের গুমারদহ গ্রামে সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ৫২ বছর বয়সী নজরুল ইসলাম রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সোমবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, ওই ব্যক্তির মরদেহ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গুমারদহ গ্রামের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
স্বজন ও স্থানীয়দের বরাতে ওসি বলেন, ‘নজরুল ইসলামেরা দুই ভাই ও দুই বোন। তাদের বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা না হওয়ায় দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ লেগেই থাকত। গত ১০ জানুয়ারি বড় ভাই ফজলুর রহমান গ্রামের মাঠে একটি জমিতে বোরো ধান লাগানোর জন্য আইল দিতে যান। এ সময় নজরুল তাকে বাধা দিলে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়।
‘এক পর্যায়ে ফজলুর রহমান তার হাতে থাকা কোদালের হাতল দিয়ে নজরুলকে বেশ কয়েকটি আঘাত করেন। এতে নজরুল গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নওগাঁ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অবস্থার অবনতি হলে ওই দিনই তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।’
শৈলগাছী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, পাঁচ-ছয় দিন আগে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ফজলুর তার ছোট ভাইকে কোদালের হাত দিয়ে মারপিট করেন। সকালে মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নেয়ার পর পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ থানায় নিয়ে যায়।
ওসি ফয়সাল বলেন, ‘ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পরেই সঠিকভাবে বলা যাবে এটি হত্যাকাণ্ড নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু। তবে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। অভিযুক্ত নজরুলের বড় ভাই ফজলুর রহমান ও তার স্ত্রী নার্গিস সুলতানা পলাতক রয়েছেন।’