পুলিশের বাধায় পণ্ড হয়েছে রাজধানীর শাহবাগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ডাকা ‘লাল কার্ড সমাবেশ’।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
আয়োজকদের অভিযোগ, সমাবেশে আসা আন্দোলনকারীদের হেনস্তা এবং জেরার মুখে পড়তে হয় শাহবাগে আগে থেকে অবস্থান করা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কাছে।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ডাকা এই সমাবেশে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনসহ কয়েকটি ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীর উপস্থিতি দেখা গেছে।নতুন বছরের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে ইতিহাস বিকৃতি, সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক বিষয়বস্তু এবং ট্রান্সজেন্ডার/এলজিবিটি প্রমোট করা হয়েছে দাবি করে এসবের প্রতিবাদে পাঠ্যক্রমকে প্রত্যাখ্যান করতে এই লালকার্ড সমাবেশ ডাকা হয়।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, জাতীয় জাদুঘরের সামনে ছাত্রলীগের বিভিন্ন হল ইউনিটের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়ে গান গাইছেন আর একপাশে দাঁড়িয়ে আছে পুলিশ।
ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের জামাল উদ্দীন মোহাম্মদ খালিদ বলেন, ‘আমরা কয়েকজন জাদুঘরের গেইট সোজা চত্বরের মাঝে দাঁড়িয়েছিলাম এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। এর মধ্যে হুট করে পুলিশের এক বড় কর্তা এসে ব্যানার ছিনিয়ে নিলেন।
‘আমরা জিজ্ঞেস করলে ধমক দিয়ে বললেন, এখান থেকে চলে যাও। মাইকসহ রিকশাওয়ালাকে থানায় নিয়ে যান তারা। ইতোমধ্যে ছাত্রলীগের আরও ছেলেপেলে এসে পুরো জায়গা দখলে নিয়ে নেয়।’
খালিদ বলেন, ‘ছাত্রলীগ আমাদেরকেও সার্চ করতে শুরু করে। কয়েকজনের গায়ে হাত তোলে এবং তাড়িয়ে দেয়। পুলিশ ও ছাত্রলীগ লাইন ধরে দাঁড়িয়ে যায় আমাদের জায়গায়। ফলে বাধ্য হয়ে আমরা চলে আসি।’
তবে হেনস্তা এবং গায়ে হাত তোলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ‘এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। সব বানোয়াট। মূলত থিয়েটার, নৃত্যকলা আর চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা শাহবাগে একটা কালচারাল অনুষ্ঠান করছে। শাহবাগে তারা সবসময় সাংস্কৃতিক চর্চাটা রাখবে।’
সংবাদকর্মীদের মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ নিয়ে সৈকত বলেন, ‘এটা ভুল বুঝাবুঝি। এটার সঙ্গে কারও কোনো সমাবেশের সম্পৃক্ততা নেই। দাঁড়ানো নিয়েই মূলত ঝামেলা। পরে আমি এটার মিমাংসা করে দিয়েছি। তারা ক্ষমা চেয়েছে।’
সার্বিক বিষয়ে জানতে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।