যুদ্ধাপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার ছয় বছর পর বগুড়ায় নাজমুল হুদা নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শহরের খান্দার মালগ্রাম এলাকা থেকে সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিনি গ্রপ্তার হন। মঙ্গলবার আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইবুনালে তাকে হাজির করা হবে।
৭২ বছর বয়সী নাজমুল হুদার বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শান্তিরাম গ্রামে। তবে তিনি গাজীপুরের টঙ্গীর পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১২-এর স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম সোমবার রাত ১১টার দিকে এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াত ইসলামীর সক্রিয় সদস্য ছিলেন এই আসামি। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগী হিসেবে রাজাকার বাহিনীর সদস্য হয়ে অপহরণ, খুন, নারী-ধর্ষণ ও অন্যান্য মানবতাবিরোধী কাজে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘মামলার রায় ঘোষণার পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। টঙ্গীর কাজীপাড়া রোড ধরতৈল পশ্চিম পাড়া বাড়ির ঠিকানা দেয়া থাকলেও সেখানে বসবাস করতেন না। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় নাজমুল হুদা বগুড়া শহরের খান্দার এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় আত্মগোপন করে আছেন।
‘এ তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১২ ও ২ এর যৌথ একটি টিমের অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তার নাজমুলকে রাতেই ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইবুনালে তাকে হাজির করা হবে।’
২০১৭ সালের ২২ নভেম্বর নাজমুল হুদাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। এর আগে ২০১৪ সালের ২৪ অক্টোবর মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় তিনিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।