বাংলাদেশিদের বিদেশে বাড়ি-গাড়িসহ অঢেল সম্পদ সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর সত্য কী না তা জানতে চেয়েছেন জাতীয় সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু। বিষয়টির যথাযথ তদন্ত দাবি করে তিনি বলেছেন, এ সম্পর্কে জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য দেয়া উচিত।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে রোববার অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পয়েন্ট অফ অর্ডারে দেয়া বক্তব্যে তিনি এই দাবি জানান।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব সংসদে চুন্নু বলেন, ‘ইদানী লক্ষ্য করছি যে টাকা পাচার, বিদেশে ফ্ল্যাট কেনার খবর পত্র-পত্রিকাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ হচ্ছে। আজ দেখলাম আমাদের পররাষ্ট্র সচিব বলছেন যে আমাদের বাংলাদেশের মানুষ যারা আমেরিকা, কানাডা, ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে থাকে তারা এ দেশের সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা নিয়ে যাচ্ছেন। সেটা বৈধ পথে নিচ্ছেন না। পররাষ্ট্র সচিব এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।’
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘যারা ইউরোপ-আমেরিকায় থাকে তারা তাদের সম্পত্তি বিক্রি করে বৈধ পথে টাকা নিলে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু এই দেশ থেকে অবৈধ পথে ডলার, বৈদেশিক মুদ্রা নেবে কেন? তারা কীভাবে নিচ্ছে? বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অবশ্যই বিষয়টি দেখা দরকার।
‘কী একটা পরিস্থিতি হলে পররাষ্ট্র সচিব দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন! এর কারন হিসেবে পররাষ্ট্র সচিব বলেছেন, ওসব দেশ থেকে এত পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি এটাচ করার জন্য আসছে যে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মনে করছে, এটা বিশাল ঘটনা।
‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগেই বলেছিলেন, কানাডায় বেগমপাড়ায় যারা বাড়ি করছেন তাদের মধ্যে অনেক আমলা আছেন। আবার দেখলাম ওয়াসার একজন এমডির আমেরিকায় ২৩টি বাড়ি। আমাদের সংসদের দুই-একজন সদস্য সম্পর্কেও এরকম প্রশ্ন উঠছে এবং আরও কিছু ইঙ্গিত আসছে।’
জাতীয় পার্টির এই সদস্য বলেন, ‘এসব ঘটনা সরকারের ইমেজ ক্ষুণ্ন করে। আমরা বিরোধী দলে আছি, আমাদেরও ইমেজ ক্ষুণ্ন হয়। দেশের মানুষের কাছে ভুল বার্তা যায়- এমপি, মন্ত্রী হলেই শত শত কোটি টাকা আয় করে। বিদেশে বাড়ি-ঘর করে।
‘এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর মুখ খোলা উচিত। এসবের তদন্ত করে স্পষ্ট বক্তব্য দেয়া উচিত।’