ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপির সাবেক নেতা উকিল আবদুস সাত্তার ভূঞাকে সরকারের পক্ষ থেকে পাস করানো হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সহ–আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় এক সেমিনারে রোববার তিনি এ কথা বলেন।
রুমিন ফারহানা বলেন, ‘বিএনপি অনেক বড় দল, এখানে একজন, দুজন মীর জাফরি করল কি করল না, এটা কোনো বিষয় না। আমরা কেউ ভোটকেন্দ্রে যাব না। এবার দল অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে আছে। কেউ যদি আবদুস সাত্তারের পক্ষে কাজ করেন, তাদের বহিষ্কার করা হবে। তাদের এই দলে রাখার কথা আর হবে না। দলের উচ্চ পর্যায় থেকে এই নির্দেশনা এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের যারা প্রার্থী হতে চেয়ে ছিলেন সবাই বসে পড়েছে। এতেই বুঝা গেছে সেখানে কোনো ভোট হবে না। তাকে সরকারের পক্ষ থেকেই পাস করানো হবে। তারা জানে আব্দুস সাত্তার ভূঞার সঙ্গে একটা কলাগাছ প্রতিদ্বন্দ্বীতা করলে সেটিও পাস করবে। তার কোনো ভোটই নাই। বিএনপির ভোটও ওনার নাই, আওয়ামীলীগের ভোটও ওনার নাই।‘
আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে রুমিন বলেন, ‘২০১৪ সালে তারা (আওয়ামী লীগ) বিনা ভোটে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ বানিয়ে বসে গেছে। ২০১৮ সালের তারা মধ্যরাতে নির্বাচন করেছে। তাদের সাহস হয়নি দিনের আলোতে ভোট করার। ২০২৩-এর শেষে বা ২০২৪ সালে আরেকটা নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচন কিন্তু ২০১৪ ও ২০১৮-এর মতো হবে না।’
বিএনপির সহ–আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক বলেন, ‘ভোট চুরি করা আওয়ামী লীগের অভ্যাস ও তাদের রক্তেই আছে ভোট চুরি। কারণ তারা জানে মানুষকে ভোট দিতে পারলে আওয়ামী লীগ কখনোই ক্ষমতায় আসবে না। ১৯৯৬ সালেও আওয়ামী লীগকে জাতীয় পার্টিকে নিয়ে ক্ষমতায় আসতে হয়েছে। নিরপেক্ষ ভোট হলে তারা (আওয়ামী লীগ) কখনো বাংলাদেশের মাটিতে ক্ষমতায় আসতে পারবে না।’
আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ শাজাহান সিরাজের সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন, উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব নাসির মুন্সি প্রমুখ বক্তব্য দেন। সেমিনারে উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।