জাতীয় সংসদের উপনেতা হলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার রাতে সংসদ ভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় তাকে উপনেতা নির্বাচিত করা হয়।
প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সমর্থন করেন আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সেক্রেটারি ও জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী গত ১১ সেপ্টেম্বর মারা যান।
নিয়ম অনুযায়ী, সংসদ উপনেতা পদের জন্য কোনো ভোটের প্রয়োজন হয় না। সংসদ নেতা তার মতামত স্পিকারকে জানান। স্পিকার রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠান এবং বাকি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। এ পদের জন্য আলাদা শপথ নেয়ার দরকার হয় না।
সংসদ উপনেতা মন্ত্রীর পদমর্যাদা ও সুবিধা পেয়ে থাকেন।
সংসদীয় আইন অনুযায়ী সংসদ উপনেতা নিয়োগে বাধ্যবাধকতা নেই। বিএনপি তাদের সময়ে এ পদে কাউকে মনোনীত করেনি। তবে আওয়ামী লীগ বরাবরই তাদের সিনিয়র নেতাদের কাউকে এ পদে রাখে।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে জিল্লুর রহমানকে সংসদ উপনেতা নির্বাচিত করা হয়। ২০০৯ সালে তিনি প্রথমে উপনেতার দায়িত্বে ছিলেন। পরে তিনি শপথ নেন রাষ্ট্রপতি হিসেবে। তখন সংসদ উপনেতা হন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় তিনি ছিলেন সংসদ উপনেতা। তার মৃত্যুতে উপনেতার পদ শূন্য হয়।
গত বছরের ৯ ডিসেম্বর রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, একজন নারীকেই নতুন সংসদ উপনেতা করা হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জেরে আলোচনায় আসে মতিয়া চৌধুরীর নাম। বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে তার নামের ঘোষণা এসেছে।