বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জেন-জির আন্দোলনে বিপর্যস্ত নেপাল, হেলিকপ্টারের দড়ি মন্ত্রীদের শেষ আশ্রয়

  • ওসমান গনি, নিউজবাংলা ডেস্ক    
  • ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১১:৫২

নেপালে সরকারবিরোধী আন্দোলন ভয়াবহ সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। উত্তেজিত বিক্ষোভকারীদের হামলার মুখে পড়ে দেশটির একাধিক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এমনকি সাবেক প্রধানমন্ত্রীও প্রাণে বাঁচতে বাধ্য হয়েছেন হেলিকপ্টারের দড়ি আঁকড়ে ধরতে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, সামরিক।হেলিকপ্টার থেকে ঝোলানো দড়ি ধরে মন্ত্রী ও তাদের পরিবার মরিয়া হয়ে পালাচ্ছেন।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুসহ বিভিন্ন স্থানে একযোগে সরকারি কর্মকর্তা, মন্ত্রী এবং এমপিদের বাসভবনে হামলা চালান বিক্ষোভকারীরা। তাদের মধ্যে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী পৃথী সুব্বা গুরুঙ্গের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, উপপ্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী বিষ্ণু পাউডেলের বাড়িতে ভাঙচুর এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখকসহ আরও কয়েকজনের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের গভর্নর বিশ্ব পাউডেলের বাসভবনও রক্ষা পায়নি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, উত্তেজিত জনতা রাস্তায় ধাওয়া দিয়ে অর্থমন্ত্রী বিষ্ণু পাউডেলকে মারধর করছে। আরেক ভিডিওতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও নেপালি কংগ্রেস প্রধান শের বাহাদুর দেউবা ও তার স্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরজু রানা দেউবাকে বিক্ষোভকারীদের হাতে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখা যায়। সেনারা পৌঁছে তাদের উদ্ধার করে।

এ সময় পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে ওঠে যে সামরিক হেলিকপ্টার ব্যবহার করে কয়েকজন মন্ত্রী ও শীর্ষ কর্মকর্তাকে রেসকিউ করা হয়। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, দড়ি বেয়ে বা রেসকিউ বাস্কেটে ঝুলে মন্ত্রীদের এক হোটেলের ছাদে নামিয়ে দিচ্ছে সেনারা। আকাশে তখন ভাসছিল ঘন কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী।

বিক্ষোভের সূত্রপাত হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা ঘিরে। তবে তা দ্রুত দেশজুড়ে সহিংসতায় রূপ নেয়। রাজধানী কাঠমান্ডুতে সরকারি-বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠান ও সংসদ ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভাঙচুর চালায় আন্দোলনকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারফিউ জারি ও সেনা মোতায়েন করা হয়।

শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভের তীব্রতায় পদত্যাগ করতে বাধ্য হন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি। বুধবার সেনারা রাজধানীর রাস্তায় টহল শুরু করে এবং জনগণকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়।

এদিকে, বিক্ষোভে সহিংসতায় জেন-জেড প্রজন্মের অংশগ্রহণ এবং মন্ত্রীদের হেলিকপ্টারের দড়ি ধরে পালানোর ভিডিও দেশজুড়ে তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর