বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে যে বার্তা আমরা দেই সে বার্তা সারা বাংলাদেশে চলে যায় এবং মানুষ উজ্জীবিত হয়। সেই বার্তা ফ্যাসিস্টদের পতনের বার্তা। পলোগ্রাউন্ডের পর বাকি ৯টি সমাবেশও দেশের জনগণকে উজ্জীবিত করেছে। আর তাতে সরকার ভীত হয়ে এখন আমাদের ভয় দেখাতে চাচ্ছে।’
বুধবার বন্দর নগরীর সিআরবি সাত রাস্তার মোড়ে গণঅবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের পদত্যাগ এবং বিএনপির ১০ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপি কেন্দ্র ঘোষিত এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
আমির খসরু বলেন, ‘বিএনপি নেতাকর্মীরা ভয়কে জয় করে ফেলেছে। প্রমাণ করেছে যত বাধাই আসুক তারা পিছপা হয় না। ইতোমধ্যে আমাদের ১৩ জন সহযোদ্ধা শহীদ হয়েছেন। কিন্তু পিছপা হননি।
‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়া আজকে ঘরবন্দি। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ অনেক নেতাকে জেলে দেয়া হয়েছে। আন্দোলনে কি ভাটা পড়েছে?’
তিনি বলেন, ‘আমরা ঘরে ফিরে যাচ্ছি না। যেখানেই হামলা হচ্ছে বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রতিরোধ করছে। আগামী দিনের আন্দোলনে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ১৬ জানুয়ারি সব জেলা-উপজেলায় প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।’
কর্মসূচিতে প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিভাগীয় দলনেতা ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাজাহান বলেন, ‘চট্টগ্রাম রাজনীতির তীর্থস্থান। এই চট্টগ্রাম থেকে শহীদ জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি লড়াই করে ব্যর্থ হননি। আমরাও হব না। অতীতেও আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। খালেদা জিয়া লড়াই করে তা পুনরুদ্ধার করেছেন। তারেক রহমান দূরে থাকলেও তার সঙ্গে আমাদের অবস্থান দুই ফুট দূরত্বে। তার নেতৃত্বেই সরকারের পতন হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মো. নাছির উদ্দিন বলেন, ‘আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে ভারত থেকে। তারা ভারতকে পছন্দ না করে বাংলাদেশকে পছন্দ করতে পারবে না। এটা জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশ। শহীদ জিয়া বলেছিলেন, আমাদের এক ইঞ্চি জায়গাও কেউ নিতে পারবে না। তারা সেই জিয়াকে হত্যা করেছে। বাংলাদেশ আমাদের পবিত্র জন্মভূমি। এই জন্মভূমি রক্ষায় বিএনপির কর্মীরাই যথেষ্ট।’
বিএনপির উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া বলেন, ‘আমাদের দাবি একটাই- শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। তারেক রহমান ও ডা. জোবায়দা রহমান এবং আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর পরিবারের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে তা প্রত্যাহার করতে হবে। আমাদের অনেক নেতাকর্মী নিহত হয়েছে। বিএনপি এখন মামলা-হামলাকে ভয় পায় না।’