সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহসিকতা দেখাতে পারলেও মানিলন্ডারিং বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারছে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমাম। তিনি মানিলন্ডারিং বন্ধে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সোমবার সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অফ অর্ডারে বক্তব্য দেন ফখরুল ইমাম।
তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি ক্রান্তিলগ্ন পার করছে। টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ডিসেম্বরের দুই সপ্তাহে চট্টগ্রামের তিনটি কোম্পানিকে তিন হাজার ৪০০ কোটি টাকার ঋণ ছাড় দেয়া হয়েছে। ৫টি ইসলামিক ব্যাংককে ৮ দশমিক ৭ শতাংশ সুদে ১৪ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে।’
‘গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক ৫০ হাজার কোটি টাকা ছাপিয়েছে। এই টাকা সিস্টেম থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে বেরিয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘বিশেষ বিশেষ সময়ে প্রধানমন্ত্রীর সাহসিকতা দেখেছি। দেখেছি আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যেসব দেশ হস্তক্ষেপ করেছে তার বিরুদ্ধে উনি কথা বলেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী কথা বলেছেন। পাশাপাশি যখন দেখি এরকম একটি শক্তিশালী সরকারের প্রধান মানিলন্ডারিংয়ের ব্যাপারে কিছুই করতে পারেন না তখন নিজেকে অসহায় মনে হয়।
‘হিসাব বলে, এ পর্যন্ত কয়েক লাখ হাজার কোটি টাকার মানিলন্ডারিং হয়েছে। বাংলাদেশের দুই বছরের বাজেটের সমপরিমাণ টাকা মানিলন্ডারিং হয়েছে। আশা করব সরকার এ ব্যাপারে কঠিন হবে। সরকারের নেতৃত্বে যিনি আছেন তার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
জাতীয় পার্টির আরেক সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘আর্থিক খাতের অনিয়মে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয় না। ১৫৮ কোটি টাকা নিয়ে দেশ ছেড়ে চলে যায়। আর সামান্য ঋণের জন্য কৃষকদের কোমরে দড়ি দিয়ে বেঁধে জেলখানায় নেয়া হয়। টাকা পরিশোধ করার পরও তার মুক্তি পেতে সময় লেগে যায়। অথচ এই কৃষক উৎপাদন করে, খাদ্য যোগায়। এটা সরকারকে ভাবতে হবে।’