কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। পুলিশের ওপর হামলার পরিকল্পনা ও উসকানি দেয়ার অভিযোগে পল্টন থানার মামলায় গ্রেপ্তারের ৩২ দিনের মাথায় সোমবার সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তারা ছাড়া পান।
হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশটি সোমবার সিএমএম আদালতের জুডিসিয়াল মুন্সিখানায় এলে, মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের আইনজীবীরা তা বিচারিক আদালতে দাখিল করেন। এ জামিননামা কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার পৌঁছালে, যাচাই-বাছাই শেষে তাদের মুক্তি দেয়া হয়।
আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রেখে আদেশ দিয়েছেন। সেই আদেশের কপি দুপুর ২টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়।’
গত ২১ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসের জামিন নাকচ করে। এর আগেও তিনবার জামিন আবেদন নাকচ হয় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে।
এরপর হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করা হয় গত সোমবার।
৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় একজন নিহত ও অর্ধশত আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর পুলিশ বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালায়।
পরে এ ঘটনায় পল্টন, মতিঝিল, রমনা ও শাহজাহানপুর থানায় পৃথক চারটি মামলা করে পুলিশ। এতে ২ হাজার ৯৭৫ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে নাম উল্লেখ করা হয়েছে ৭২৫ জনের।
এরপর ৮ ডিসেম্বর রাতে পৃথক অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ফখরুল ও আব্বাসকে প্রথমে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে।
বাসা থেকে নিয়ে যাওয়ার প্রায় ১১ ঘণ্টা পর বিএনপির এ দুই নেতাকে গ্রেপ্তারের কথা জানানো হয়। পরে পল্টন থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় তাদের।