বগুড়ায় পঞ্চম শ্রেণির এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে ১১ বছর পর হায়দার আলী নামে একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
সোমবার দুপুরে বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবির আসামির উপস্থিতিতে এই রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত হায়দার আলী গাবতলীর পদ্মপাড়া গ্রামের মৃত মোজাহার হোসেনের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পিপি আশেকুর রহমান সুজন জানান, ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১১ সালের ২৭ মে রাতে। হায়দার আলী ভুক্তভোগী শিশুটিকে পড়া দেখিয়ে দিতেন। এই সুযোগে তিনি শিশুটির ওপর নির্যাতন করেন। প্রতিবেশিরা বিষয়টি টের পেলে হায়দার পালিয়ে যান।
আশেকুর রহমান বলেন, ‘মামলায় বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক আসামিকে যাবজ্জীবন সাজা দেন।’
রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী জানান, হায়দার আলীকে এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে তাকে।
কোর্ট পরিদর্শক সুব্রত ব্যানার্জি বলেন, ‘দুপুরে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়ার পর আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’