গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার ২২ নৌ কমান্ডো বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি-সংক্রান্ত গেজেট বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছে হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বৃহস্পতিবার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দেয়।
আদালতের রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম।
রায়ের পরে এ আইনজীবী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যে সমস্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা গেজেটভুক্ত হয়েছেন, তাদের সনদ বাতিল করার এখতিয়ার জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের নেই বলে রায় দিয়েছেন আদালত। লিখিত রায়ে আরও বিস্তারিত হয়তো থাকবে।’
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার ২২ নৌ কমান্ডোর বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি-সংক্রান্ত গেজেট বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে ২০১৬ সালে আদেশ দেয় হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এই ২২ জনের বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি-সংক্রান্ত গেজেট বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে রুল জারি করে আদালত।
ওই রুলের দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধকালীন রিট আবেদনকারী ২২ জনসহ ৪৭৯ মুক্তিযোদ্ধা ভারত থেকে নৌ কমান্ডো প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। স্বাধীনতার পর সাত সদস্যের জাতীয় কমিটি ২০০১ সালে এ নৌ কমান্ডো বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা চূড়ান্ত করেছিল।
২০০৪ সালের ১৫ জুন এবং ২০০৫ সালের ১৭ এপ্রিল দুই দফায় ৪৭৯ জন নৌ কমান্ডোর নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটভুক্ত করা হয়। এর পর থেকে তারা মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা পাচ্ছেন, তবে ২০১৬ সালের ৭ এপ্রিল জামুকার ৩৫তম সভায় রিট আবেদনকারীসহ ২৪ মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি-সংক্রান্ত গেজেট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা আবু হান্নান সরকারসহ ২২ জন ওই বছরের ৮ মে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।