সম্প্রতি মেট্রোরেলের পিলারে পোস্টার লাগানো নিয়ে নতুন করে আলোচনায় আসেন ‘পোস্টার বয়’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠা জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রেসিডিয়াম সদস্য সাইফুদ্দিন মিলন। অবৈধভাবে যত্রতত্র পোস্টার লাগানো থেকে বিরত থাকতে তাকে নোটিশ দিয়ে সতর্ক করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
বুধবার সংস্থাটির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আ ন ম তরিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে ‘অতীব জরুরি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, ‘সাইফুদ্দিন মিলন দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা উত্তর সিটির আওতাধীন এলাকায় অবৈধভাবে যত্রতত্র পোস্টার লাগিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে নগরীর সৌন্দর্য ব্যাহত হচ্ছে এবং নগরী অপরিচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে। এ ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করতে অতিরিক্ত জনবল, অর্থ ও সময় নষ্ট হচ্ছে।’
দেয়াললিখন ও পোস্টার লাগানো (নিয়ন্ত্রণ) আইনের কথা উল্লেখ করে নোটিশে আরও বলা হয়, ‘ইতোপূর্বে দেয়াললিখন ও পোস্টার লাগানো নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক দেয়াললিখন ও পোস্টার লাগানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১২ প্রকাশ করা হয়েছে। এ আইন অনুসরণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানিয়ে ইতোমধ্যে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এমতাবস্থায় ঢাকা উত্তর সিটির আওতাধীন এলাকায় যত্রতত্র পোস্টার লাগানো থেকে বিরত থাকতে এবং লাগানো পোস্টারগুলো অবিলম্বে নিজ খরচে অপসারণ করতে অনুরোধ করা হলো।’
আরও পড়ুন: কেন এত পোস্টার লাগান হাজী মিলন
এ অবস্থায় সিটি করপোরেশন পোস্টার অপসারণ করলে তার ব্যয়ভার সাইফুদ্দিন মিলনকে বহন করতে হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, পরবর্তী সময়ে দেয়াললিখন ও পোস্টার লাগানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১২–এর বিধান লঙ্ঘন করলে মিলনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে মিলনকে দেয়া চিঠি
এদিকে নিউজবাংলার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সাইফুদ্দিন মিলন বলেন, ‘রাস্তায় বের হলেই আমারে দেখা যায়, এই জন্য অন্যদের খারাপ লাগে। আমার ছবি কেন রাস্তায় দেখা যায়, তাদের ছবি কেন দেখা যায় না– এ জন্যে তাদের খারাপ লাগে। ঢাকা শহরে দেড়-দুই কোটি মানুষ থাকে। এর মধ্যে দুই-তিনশ’ মানুষ সমালোচনা করে। কারণ তাদের খারাপ লাগে, আর বাকি মানুষ প্রশংসা করে। এই দুই-তিনশ’ লোকের ছবিসহ পোস্টার লাগায় দেন, দেখবেন তাদের কাছেও ভালো লাগবে।’
হাজী মিলন ঢাকা দক্ষিণে রাজনীতি করলেও উত্তর ঢাকাতেও তার পোস্টার ও প্রচারণা দেখা যায়। গত ২০ বছর ধরে তিনি নিজের পোস্টার লাগিয়ে আসছেন বলেন জানান সাইফুদ্দিন মিলন।