বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতির দাবি অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের

  •    
  • ৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৭:২১

অবসরে যাওয়া আব্দুল লতিফ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া সব পুলিশ এখন অবসরে। আমরা ব্যক্তিগত ও সম্মিলিতভাবে যোগাযোগ করলেও নানা অজুহাত দেখিয়ে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতির গেজেট প্রকাশের বিষয়টি জামুকা ঝুলিয়ে রেখেছে।’

সার্ভিস বইয়ে তথ্য থাকলেও মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া অনেক পুলিশ সদস্য এখনও বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাননি। ফলে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা থেকে তারা ও তাদের পরিবার বঞ্চিত।

এ অবস্থায় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) স্বীকৃতির দাবিতে বুধবার সকালে কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ও তাদের স্বজনেরা রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অবসরপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল লতিফ। মুক্তিযুদ্ধের সময় আবদুল লতিফ কনস্টেবল পদে ছিলেন।

আবদুল লতিফ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ডাকে পুলিশ বাহিনী মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রহরেই ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পাক-হানাদারদের বিরুদ্ধে। চাকরি ও জীবন বাজি রেখে তারা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। পরে অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতার সুফল বাঙালি জাতি পেলেও আমরা পুলিশ বাহিনী স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাইনি।

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালের সশস্ত্র বাহিনী দিবসে নির্দেশনা দেন, একাত্তরের পর বাহিনীতে ফেরা মুক্তিযোদ্ধারাও ভাতা পাবেন। ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ভাতা প্রযোজ্য হবে। কিন্তু আমাদের সেই স্বীকৃতির প্রস্তাব জামুকার নথিতে লাল ফিতায় বাঁধা রয়েছে।’

আব্দুল লতিফ আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া সব পুলিশ এখন অবসরে। আমরা ব্যক্তিগত ও সম্মিলিতভাবে যোগাযোগ করলেও নানা অজুহাত দেখিয়ে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতির গেজেট প্রকাশের বিষয়টি জামুকা ঝুলিয়ে রেখেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে আমরা ১৪ হাজার পুলিশ সদস্য অংশগ্রহণ করি। এর মধ্যে দেড় হাজার ব্যক্তি শহীদ হন।’

তিনি জানান, পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পুলিশ সদস্য মুক্তিযোদ্ধার একটি তালিকা প্রণয়ন হয়েছিল। যাচাই-বাছাইয়ের পর তালিকাটি জামুকায় পাঠানো হলেও ২০২১ সাল থেকে পড়ে আছে।

সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহীর অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য নুরুল ইসলাম জানান, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি জেলা পুলিশ লাইনসে কর্মরত ছিলেন। ২৮ মার্চ দুপুরে হানাদার বাহিনী পুলিশ লাইনস আক্রমণ করলে অন্য সবার সঙ্গে তিনিও প্রতিরোধযুদ্ধে অংশ নেন। পরে রাজশাহী জেলার বিভিন্ন এলাকায় সম্মুখসমরেও অংশ নিয়েছেন।

নুরুল ইসলামের সার্ভিস বুকে লেখা আছে- তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। বেশ কয়েক বছর আগেই তিনি পুলিশ বাহিনী থেকে অবসরে গেছেন। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তিনি এখনও কোনো রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পান না।

সংবাদ সম্মেলনে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মতিয়ার রহমানের ছেলে আবদুল খালেক বকুল, আসগর আলীর ছেলে ডা. মোজাম্মেল হকও উপস্থিত ছিলেন। তারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সদস্যদের নামের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশের জন্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ বিভাগের আরো খবর