ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে আগুনে ৬টি দোকান, ৫টি বাড়ি ও কসমেটিকসের একটি গোডাউন পুড়ে গেছে। এ সময় ‘হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে’ আবুল হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়।
পৌর শহরের মধ্যবাজার এলাকায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ব্যবসায়ীর নাম আবুল হোসেন। ৬২ বছরের আবুলের বাড়ি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায়। তিনি গফরগাঁও পৌর শহরে ভাড়া বাসায় থাকতেন। বাজারে তার কাপড়ের ব্যাগের দোকান ছিল।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গফরগাঁও ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রাম প্রসাদ পাল।
তিনি বলেন, ‘লিটন রায়ের স্বর্নালী জুয়েলার্সের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত। পরে আগুন ছড়িয়ে পড়লে বাদল রায়ের রায় জুয়েলার্স, সুশীল রায়ের মনিন্দ্র জুয়েলার্স, অপু রায়ের চমক জুয়েলার্স, নয়ন মিয়ার আশরাফ শিল্পালয়, হরিপদ রায়ের বিজয় কসমেটিকস, কসমেটিকস মালমাল রাখার একটি গোডাউন এবং রিটন রায়, বাদল রায়, বিজয় রায়, আশরাফ, শাহাবুদ্দিন নামে কয়েকজনের বাড়ি পুড়ে যায়।
‘ফায়ার সার্ভিস তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসে দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।’
কীভাবে আগুন লেগেছে ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত তা জানা যায়নি। ব্যবসায়ীদের ধারণা, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেড় কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী হরিপদ রায় নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার কসমেটিকসের দোকান ও গোডাউন পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ৬০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমার সব শেষ হয়ে গেলো।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাইন উদ্দিন খান জানান, আবুল হোসেন নামের ওই ব্যবসায়ীকে হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়ার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক আহম্মেদ বলেন, ‘দোকানে আগুন জ্বলতে শুরু করলে বৃদ্ধ আবুল দৌড়াতে গিয়ে মাটিতে পড়ে যান। এ সময় আশপাশের লোকজন তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
‘নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হবে।’