বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হত্যার ২০ বছর পর আত্মসমর্পণ

  •    
  • ৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ২৩:১৫

বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিন অপহরণ ও হত্যা মামলার আসামি আবুল কাশেম চৌধুরী ওরফে কাশেম চেয়ারম্যান ২০ বছর পর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে, আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

বহুল আলোচিত বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিন অপহরণ ও হত্যা মামলার আসামি আবুল কাশেম চৌধুরী ওরফে কাশেম চেয়ারম্যান ২০ বছর পর আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।

চট্টগ্রামের পঞ্চম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নারগিস আক্তারের আদালতে মঙ্গলবার আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে, আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী ফরিদ আহমেদ।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালের ২৪ জুলাই রাতে চট্টগ্রামের চকবাজারে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে চান্দগাঁও থানা এলাকায় নিজের বাসায় ফেরার পথে অপহৃত হন জামাল উদ্দিন। ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ছিলেন।

অপহরণের ঘটনায় তার ছেলে চৌধুরী ফরমান রেজা লিটন নগরের চান্দগাঁও থানায় একটি মামলা করেন। পরিবারের দাবি, জামাল উদ্দিন সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। তার মনোনয়ন ঠেকাতে এবং এক কোটি টাকা মুক্তিপণ আদায়ের জন্য তাকে অপহরণ করা হয়। মুক্তিপণের টাকা দিতে দেরি হওয়ায় পরে তাকে হত্যা করা হয়।

অপহরণের দুই বছর পর এই মামলায় আনোয়ারা সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) তৎকালীন চেয়ারম্যান শহীদকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ফটিকছড়ির কাঞ্চননগর পাহাড়ি এলাকা থেকে জামাল উদ্দিনের দেহাবশেষ উদ্ধার করে বাহিনীটি।

এর এক বছর পর ২০০৬ সালে দুই দফায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় সিআইডি। প্রতিবারই নারাজি আবেদন করেন বাদীপক্ষ।

এর মধ্যে ২০০৭ সালে আসামিপক্ষের এক রিটের প্রেক্ষিতে এই মামলার স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট। পরে ২০১১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হলে, মামলাটি পুনরায় গতি পায়।

এর মধ্যে বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তার হন। তাদের মধ্যে তিন আসামি আদালতে জবানবন্দি দেন। তাদের জবানবন্দিতে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে কাশেম চেয়ারম্যানের নাম উঠে আসে।

রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি রিদওয়ানুল বারী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আদালতে যারা জবানবন্দি দিয়েছেন সবার কথায় খুনের নির্দেশদাতা হিসেবে কাশেম চেয়ারম্যানের নাম উঠে এসেছে৷

‘আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। এখন যেহেতু কয়েকজনের জবানবন্দি আমাদের কাছে আছে, তাই মামলাটি দ্রুত শেষ হবে বলে আমরা আশা করছি।’

এ বিভাগের আরো খবর