বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাত পোহালেই গাইবান্ধার ভোট, সব কক্ষে সিসিটিভি

  •    
  • ৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৭:২১

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, সব কেন্দ্রে ইভিএমসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। ১৪৫টি ভোট কেন্দ্রে ১ হাজার ২৪২টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। পর্যবেক্ষণের জন্য উচ্চ পর্যায়ের মনিটরিং সেল গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন।

গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের উপনির্বাচনে দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ বুধবার। আসনটিতে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দেবেন ভোটাররা। ইতোমধ্যে ভোটগ্রহণের সার্বিক প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রতিটি কেন্দ্র ও কক্ষে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।

মঙ্গলবার সকাল থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয় ইভিএমসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম। ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে এসব সরঞ্জাম সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এরপর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ট্রাক অথবা পিকআপ ভ্যানযোগে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের উদ্দেশে রওনা দেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা। বিকেলের মধ্যে চরাঞ্চলসহ সব কেন্দ্রেই নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছবে বলে জানা যায়।

গাইবান্ধা-৫ আসনটি ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নিয়ে গঠিত। এ দুই উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন। ১৪৫টি কেন্দ্রে এসব ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণে সব ধরনের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম।

তিনি জানান, ভোটগ্রহণের জন্য কেন্দ্রগুলোতে ইভিএমসহ প্রয়োজনীয় মালামাল পাঠানো হচ্ছে। পুলিশ ও আনসার সদস্যের নিরাপত্তার পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে ১৪৫টি ভোট কেন্দ্রে স্থাপন করা হয়েছে এক হাজার ২৪২টি সিসিটিভি ক্যামেরা। ভোট পর্যবেক্ষণের জন্য উচ্চ পর্যায়ের মনিটরিং সেল গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন।

এছাড়া নির্বাচনের দিন যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা জানিয়েছেন পুলিশ সুপার কামাল হোসেন।

তিনি বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শেষ করতে বিজিবি, র‍্যাব ও পুলিশের মোবাইল টিম মাঠে থাকবে। স্ট্রাইকিং ফোর্সের পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন।

নির্বাচনে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের মাহমুদ হাসান রিপন (নৌকা), জাতীয় পার্টির (জাপা) এএইচএম গোলাম শহিদ রঞ্জু (লাঙ্গল), বিকল্পধারা বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর আলম (কুলা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (ট্রাক)।

উপনির্বাচনে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল। তাদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ ২৫ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে ভোট কারচুপির আশঙ্কায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী গত বছরের ২৩ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আসনটিতে ১২ অক্টোবর উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলাকালে গোপন কক্ষে একাধিক ব্যক্তি প্রবেশ করায় ভরতখালি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, ফুলছড়ি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র এবং সাঘাটা উপজেলার রামনগর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে দফায় দফায় ৫১টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করে ইসি।

অনিয়মের ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি ৫১টি ভোটকেন্দ্রের ঘটনা তদন্ত করে ২৭ অক্টোবর ইসিকে প্রতিবেদন দেয়। পরে বাকি ৯৪টি ভোটকেন্দ্রে অনিয়ম ছিল কিনা, তা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয় ইসি। ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় কমিটি ওই প্রতিবেদন জমা দেয়।

তদন্তে ১২৫ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পাঁচটি কেন্দ্রের পাঁচজন পুলিশ উপ-পরিদর্শকের বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনে অবহেলার প্রমাণ পাওয়ার কথা জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

তদন্ত শেষে ৬ নভেম্বর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ৪ জানুয়ারি গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণের তারিখ ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।

এ বিভাগের আরো খবর