বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্মার্ট বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নতুন ধোঁকা: নজরুল

  •    
  • ২ জানুয়ারি, ২০২৩ ১৫:৫৮

‘আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের কথা শুনেছি। অথচ পত্রিকায় দেখলাম ২০২২ সালে বাংলাদেশ বিশ্ব সৃজনশীলতার তালিকায় ১৩৫ দেশের মধ্যে ১২৯ নম্বরে। এই অবস্থায় আমরা কতটা সৃজনশীল হতে পারব? সৃজনশীল যদি না হতে পারি, তাহলে স্মার্ট বাংলাদেশ হব কী করে? আমরা কাকে ধোঁকা দিতে চাই?’

আওয়ামী লীগের নতুন স্লোগান ও লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সম্ভব কি না, সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেছেন, সৃজনশীলতার সূচকে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় এটি সম্ভব নয়। এ কথা বলে আওয়ামী লীগ ধোঁকা দেবে বলেও মনে করেন তিনি।

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন বিরোধী দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদের এই নেতা।

২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের স্লোগান ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশের। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে স্লোগান ছিল ‘গ্রাম হবে শহর।’ এবার ক্ষমতাসীন দল বলছে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ এর কথা।

বিএনপির নেতা বলেন, ‘আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের কথা শুনেছি। অথচ পত্রিকায় দেখলাম ২০২২ সালে বাংলাদেশ বিশ্ব সৃজনশীলতার তালিকায় ১৩৫ দেশের মধ্যে ১২৯ নম্বরে। এই অবস্থায় আমরা কতটা সৃজনশীল হতে পারব?’

তিনি বলেন, ‘সৃজনশীল যদি না হতে পারি তাহলে স্মার্ট বাংলাদেশ হব কী করে? আমরা কাকে ধোঁকা দিতে চাই? …জনগণ আমাদের এত বিশ্বাস করে, আশায় বুক বাঁধে। তাদের সঙ্গে প্রতারণা করার মতো পাপ, এত বড় অপরাধ আর কিছু নাই।’

দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে হতাশার কথাও বলেন বিএনপি নেতা। বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে সমাজতন্ত্রের কথা বলা আছে, কিন্তু আমরা মুক্ত বাজার অর্থনীতি চর্চা করছি।’

মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষে অস্ত্র ধরা মুসলিম লীগের একাংশের সম্মেলনে গিয়ে নজরুল আরও বলেন, ‘আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধে ছিলাম, আক্ষেপটা বোধ হয় তাদেরই বেশি। কীভাবে কী চিন্তা করে, কী আশা নিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েছিলাম, আর কী পেয়েছি!

‘কত রঙ, কত রকমের কথা শুনেছিলাম! আমরা বাংলাদেশকে সোনার বাংলা করব। বাংলাদেশকে কত কী করা হবে! ডিজিটাল বাংলাদেশ করা হবে, এখন স্মার্ট বাংলাদেশ করা হবে শুনেছি। সে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখেছি, অনাচার দেখেছি, অব্যবস্থাপনা দেখেছি, এখন পর্যন্ত যে দেশে গণতন্ত্রহীনতা দেখেছি, একদলীয় শাসনব্যবস্থা দেখেছি। এগুলোর কোনোটাও শোনার মতো ছিল না।’

দেশে এখন গণতন্ত্র চর্চা করার সুযোগ মিলছে না বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা। তিনি বলেন, ‘যারা গণতন্ত্রকে জবাই করে একদল করেছে, তারাই এখন গণতন্ত্রের চ্যাম্পিয়ন বলে দাবি করে, তখন কষ্ট হয়।’

আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে নজরুল বলেন, ‘গণতন্ত্রের বাহন হলো নির্বাচন। নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে। আপনারা সেই নির্বাচনকে ধ্বংস করে বলবেন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবেন এইটা বলতে পারেন না।

দেশের মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে বলেও মনে করেন বিএনপি নেতা। তিনি বলেন, ‘আমাদের এত নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, মাত্র তিন মাসের মধ্যে আমাদের ১২-১৩ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, তারপরও আমাদের প্রত্যেকটা প্রোগ্রাম সফল হয়েছে।

‘প্রত্যেকটা আন্দোলনে সাধারণ জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছে। আর সাধারণ জনগণ তখনই অংশ গ্রহণ করে, যখন তারা পরিবর্তন চায়। পরিবর্তন চায় কল্যাণের জন্য, সমৃদ্ধির জন্য, শান্তির জন্য। এবং জনগণের শান্তি, কল্যাণ এবং সমৃদ্ধির যে আকাঙ্ক্ষা যুগে যুগে কেউ কখনো দাবিয়ে রাখতে পারে নাই। এই সরকারও পারবে না। আগামী দিনের সেই লড়াইয়ে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর