বীর মুক্তিযোদ্ধা, ক্রীড়া সংগঠক ও বিশিষ্ট স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন ৭৯ বছর বয়সে মারা গেছেন। তিনি বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সভাপতির পদে দায়িত্বরত ছিলেন।
স্থপতি মোবাশ্বেরের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
রোববার রাত দেড়টায় রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন তিনি।
তার প্রতি সর্ব সাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আগারগাঁওয়ের স্থাপত্য আচার্য মাজহারুল ইসলাম সড়কে (নির্বাচন কমিশনের পূর্ব পাশ) বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে দুপুর ১২টায় বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে।
বাদজোহর জানাজা শেষে তার মরদেহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) দান করা হবে।
১৯৪৩ সালের ২৭ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্ম হয় তার। তিনি দীর্ঘদিন পরিবেশ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ছিলেন ক্রীড়া সংগঠকও।
স্থপতি মোবাশ্বের বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের সভাপতি এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়া তিনি জাগো আর্ট সেন্টারের সভাপতি ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন স্ফুরণের প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রীর শোক
স্থপতি মোবাশ্বেরের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
এক শোকবার্তায় মন্ত্রী বলেন, ‘স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের মৃত্যুতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল।’
ডিএনসিসি মেয়রের শোক
বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের (আইএবি) সদ্যঃসাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও দেশবরেণ্য স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
ডিএনসিসি মেয়র সোমবার এক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার, নিকটাত্মীয়, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সহমর্মিতা ও সমবেদনা জানান।
শোকবার্তায় মেয়র বলেন, ‘স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন দেশের স্থাপত্য শিল্পে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন। তিনি ছিলেন জাতির গর্বিত সন্তান। তিনি তার মেধা ও মনন দিয়ে স্থাপত্যশিল্পকে সমৃদ্ধ করেছেন। নাগরিক অধিকার আদায় ও পরিবেশ আন্দোলনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সোচ্চার ছিলেন তিনি।’
মেয়র আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রেও তিনি অসামান্য অবদান রেখেছেন। তিনি ছিলেন অনিয়মের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। নগরীর মাঠ, পার্ক ও খাল অবৈধ দখল থেকে উদ্ধার করতে তিনি সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে ছিলেন। তার মৃত্যুতে দেশ একজন প্রতিভাদীপ্ত স্থপতি ও অসাধারণ দেশপ্রেমিককে হারাল। এই শূন্যস্থান সহজে পূরণ হওয়ার নয়।’