ঘন কুয়াশায় শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে মেঘনা নদীর উভয় প্রান্তে আটকা পড়েছে শতাধিক যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন।
এমন বাস্তবতায় তীব্র শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও চালকরা।
মাঝনদী ও বেরাচাক্কি চ্যানেলের মুখে অতিরিক্ত কুয়াশা থাকায় শুক্রবার রাত ১২টা থেকে এ পথে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) নরসিংহপুর ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক ইকবাল হোসেন জানান, শুক্রবার রাত ১০টা থেকেই নদীতে কুয়াশা বাড়তে থাকে। রাত ১২টার দিকে কুয়াশার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় যাত্রী নিরাপত্তার কথা ভেবে ফেরি চলাচল বন্ধ করা হয়। মাঝনদীতে ও বেড়াচাক্কি চ্যানেলের মুখে ঘন কুয়াশা থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তিনি আরও জানান, এক সপ্তাহ যাবৎ কুয়াশার কারণে প্রায় প্রতিদিনই দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে হচ্ছে। নদীতে কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল ফের স্বাভাবিক হবে।
ফরিদপুর থেকে পেঁয়াজ নিয়ে চট্টগ্রামে যাওয়ার পথে ফেরিঘাটে আটকা পড়া শরিফুল ইসলাম বকশি বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যার সময় ঘাটে এসেছি। এখন সকাল ৮টা বাজে, এখনো নদী পার হতে পারিনি। আজকে দুপুরের মধ্যে পেঁয়াজ নিয়ে চট্টগ্রাম পৌঁছাতে হবে। নয়তো মালিকের বড় ধরনের লোকসান হয়ে যাবে। কুয়াশায় ট্রাকের পেছনে থাকা বেশ কিছু অংশের পেঁয়াজ ভিজে গেছে। জানি না কখন কুয়াশা কমবে আর কখন নদী পার হয়ে গন্তব্যে যেতে পারব।’
বরিশাল থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে শুক্রবার রাত ১০টায় মালামালসহ ট্রাক নিয়ে আটকা পড়া আমজাদ হোসেন বলেন, ‘সারারাত ট্রাকে আটকা রয়েছি। তীব্র শীতে ফেরিঘাটে খুব ভোগান্তিতে পড়েছি। ৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ফেরি বন্ধ। এখনো নদীতে যে কুয়াশা রয়েছে তাতে কখন ফেরি চলাচল শুরু হবে কিছুই বলতে পারছি না। সকাল ৮টার মধ্যে চট্টগ্রাম পৌঁছার কথা। জানি না কখন পৌঁছাতে পারব।’