রংপুর সিটি করপোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ডে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ ও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে স্মারকলিপি দিয়েছেন পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী বহুলুল ইসলাম জেপলিন। একই দাবিতে নগরীতে বিক্ষোভ করেন তার সমর্থকরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর মুলাটোল এলাকায় মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ করেন তারা। পরে রংপুর রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেনকে স্মারকলিপি দেয়া হয়।
জেপলিন বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডে ছয়টি ভোটকেন্দ্র ছিল। নির্বাচনের দিন কেন্দ্রগুলোতে নানা অনিয়ম ও কারচুপির ঘটনা ঘটে। ইভিএমগুলো সঠিকভাবে কাজ করছিল না, বারবার বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, যারা ভোট গ্রহণের দায়িত্বে ছিলেন তারা মেশিনগুলো বারবার ঝাঁকি দিয়ে তা চালু করার চেষ্টা করেছিলেন।
'ইভিএম মেশিনগুলো সঠিকভাবে কাজ না করায় প্রতিজনের ভোট দিতে ২০ থেকে ৩০ মিনিট লেগে যাচ্ছিল। আবার কারও কারও এক ঘণ্টা সময়ও লেগেছে। এমনকি যারা আমার ভোটার ঠেলাগাড়ি মার্কায় ভোট দিতে চাচ্ছিল এমন ৩০০ থেকে ৪০০ ভোটারের আঙুলের ছাপ না মেলার অজুহাতে কৌশলে তাদের ভোট দেয়া থেকে বিরত রাখা হয়।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘গুড়াতি পাড়ার কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার গোলাম রব্বানী সারাক্ষণ দরজা বন্ধ করেছিলেন, তাকে ডেকেও পাইনি। ভোট গ্রহণ সাড়ে ৬টায় শেষ হলেও তাৎক্ষণিক ফলাফল না দিয়ে রাত ৯টার দিকে ফলাফল কেন দিল তাও বোধগম্য নয়।
'আমার ২০ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটে নানা অনিয়ম হওয়ায় আমি সিটি করপোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।’
অন্যদিকে, নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে সমান ভোট পাওয়া সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী মিথ্যা অপবাদ দেয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মো. শাহাজাদা।
নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে নিজ নির্বাচনি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করি। আমি এবং আরেক প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ফুলু সমান ভোট পাই। কিন্তু তার আগে আমি বহু ভোটে বিজয়ী হয়েছি, এমন খবরে আমার সমর্থকরা আমাকে নিয়ে উৎসব করে। সেখানে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু আমাকে জড়িয়ে নানা মিথ্যা অপবাদ দেয়া হচ্ছে যা সত্য নয়।’
তিনি পুনরায় ভোট গ্রহণের বিষয়ে সবাইকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানান।