বেলা যত বাড়ছে রাজধানীর মেট্রোরেল স্টেশনগুলোতে সাধারণ যাত্রীদের সারি ততো দীর্ঘ হচ্ছে। সূর্যোদয়ের পর থেকেই শুরু হয়েছে মেট্রোরেলে টিকিট কাটার লাইন। ঢাকায় প্রথম মেট্রোরেলের অভিজ্ঞতা নিতে আগে এসেই লাইনে দাঁড়িয়েছেন হাজারো মানুষ। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীর লাইনও দীর্ঘ হতে দেখা গেছে।
রাজধানীর দিয়াবাড়ীতে অবস্থিত মেট্রোরেলের উত্তরা উত্তর স্টেশনে প্রায় আধঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট পেয়েছেন দুই বান্ধবী।
তাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘তীব্র শীত উপেক্ষা করে লাইনে ছিলাম। এখন টিকিট কাটা শেষ। ট্রেনের অপেক্ষা। খুব ভালো লাগছে প্রথম দিন ট্রেনে চড়তে পারব ভেবে।’
চট্রগ্রাম থেকে পুরো পরিবার নিয়ে এসেছেন রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘প্রথম মেট্রোট্রেনে চড়ব। ইতিহাসের সাক্ষী হতে পরিবার নিয়ে চলে এসেছি।’
বাবার সঙ্গে মেট্রোরেলে চড়তে এসে ১০ বছর বয়সী আরবার বলে, ‘কোনো দিন মেট্রোট্রেনে চড়িনি। খুব ভালো লাগছে। ট্রেনে উঠব ভেবে সারারাত ঘুমই আসেনি।’
ভোর ৪টা থেকে মেট্রোরেলের আগারগাঁও স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন চার বন্ধু। লক্ষ্য ছিল প্রথম মেট্রোট্রেনে চড়া। ট্রেনে চড়তে যাত্রীদের দীর্ঘ লাইনের প্রথমে ছিলেন তারা। সকালে আগারগাঁও স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, মেট্রোট্রেনে চড়তে ভোর থেকেই লাইনে দাঁড়িয়েছেন যাত্রীরা। কেউ অফিসে যাবেন, কেউবা এসেছেন পরিবারসহ। অনেকেরই লক্ষ্য শুধু মেট্রোট্রেনে ঘোরা।
কথা হয় আরিফ হোসেন নামের এক যাত্রীর সঙ্গে। শুধু ঘুরতে তিনি মেট্রোট্রেনে চড়ে উত্তরা যাবেন। বলেন, ‘প্রথম মেট্রোট্রেন চালু হয়েছে, চড়ার জন্যই এসেছি।’
এর আগে বুধবার বেলা ১১টা ৪ মিনিটে মেট্রোরেলের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ী প্রান্তে উদ্বোধনস্থলে তিনি এই ফলক উন্মোচন করেন। ওই সময় সরকারপ্রধানের সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
উদ্বোধনী ফলক উন্মোচনের পর সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। বক্তব্যের পর কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে সফরসঙ্গীদের নিয়ে মেট্রোরেলে চড়েন শেখ হাসিনা।