আন্তজেলা অটো চোর চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সৈয়দপুর থানা পুলিশ।
বুধবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম।
এর আগে গ্রেপ্তার চারজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন- গাইবান্ধা জেলা সদরের নারায়ণপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম, খোলাবাড়ি এলাকার দুখু মিয়া, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সাতগিড়ি এলাকার রাজু মিয়া এবং রংপুর জেলার কাউনিয়া উপজেলার হরিশ্বর এলাকার আলমগীর হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২৬ ডিসেম্বর দুপুরে সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট মোড় এলাকায় চেতনানাশক খাইয়ে রিমন নামে এক চালকের অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধরা পড়েন আলমগীর হোসেন। পরে আলমগীরের সহযোগী রাজু মিয়াকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে চোরাই অটোরিকশা কেনা-বেচায় জড়িত দুখু মিয়া ও জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করা হয় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থেকে। এ সময় চুরি হওয়া তিনটি অটোরিকশাও উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আলমগীর ও রাজু দুজনে অটোরিকশা রিজার্ভ নিয়ে বিভিন্ন স্থানে যেতেন। জায়গা বুঝে তারা অটোচালককে চেতনা নাশক খাইয়ে অটো নিয়ে পালাতেন।
‘গত ২৬ ডিসেম্বর অটো নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় চালকের চিৎকারে স্থানীয়রা আলমগীরকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে আসে।’
পুলিশ সুপার জানান, চুরি হওয়া অটোরিকশাগুলো সুন্দরগঞ্জের দুখু মিয়া ও জাহাঙ্গীরের কাছে বিক্রি করা হতো। জাহাঙ্গীর চুরি হওয়া অটোগুলো ভাড়ায় চালাতেন বিভিন্ন এলাকায়।
যে তিনটি অটো উদ্ধার করা হয়েছে সেগুলো নীলফামারীর সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ এলাকার।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘এই চক্রের সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনার কাজ চলছে।’
সৈয়দপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় অটোচালক রিমন একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় আটক চারজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সারওয়ার আলম, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি খ ম আখেরুজ্জামান, জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আকরাম হোসেন উপস্থিত ছিলেন।